বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ৫ লাখ মানুষ ভুগছেন কোভিড সৃষ্ট অক্সিজেন সঙ্কটে
স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশে প্রতিদিন কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় দরকার ১১ লাখ অক্সিজেন সিলিন্ডার। ২৫টি দেশে ইতোমধ্যেই চাহিদা আরও বাড়ার ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ২৫টি দেশের অধিকাংশই আবার আফ্রিকা মহাদেশে।
মহামারির আগে থেকেই অক্সিজেন এর পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল বড় সমস্যা। মহামারি তাকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। বিশ্বমারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশে (এলএমআইসি) সস্তায় এবং স্থায়ীভাবে অক্সিজেন পাওয়া হয়ে উঠেছে এক ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ।
কোভিড-১৯ জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নজিরবিহীন চাপ সৃষ্টি করে। এলএমআইসি ভুক্ত অনেক দেশের হাসপাতালে নিঃশেষ হয় অক্সিজেনের সীমিত চালান। এর ফলে যেসব মৃত্যু ঠেকানো যেত, সেগুলোই ঘটেছে। আবার, দুর্লভ অক্সিজেনের সরবরাহ পেতে বেশি মূল্য দিতে বাধ্য হয়েছেন রোগীর পরিবার-পরিজন।
চিকিৎসা খাতের বিচারে অক্সিজেন একটি অতি-দরকারি ওষুধ জাতীয় উপকরণ। আর হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদেরকেও গ্যাসটি দেওয়া ছাড়া তাদের বাঁচানোর উপায় নেই। তারপরও, দরকারি অবকাঠামো ও সরবরাহ ব্যবস্থার অভাবে অক্সিজেন প্রাপ্তি সবচেয়ে নাজুক এলএমআইসি ভুক্ত দেশে।
অনেক সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারাও রোগীর জন্যে যথেষ্ট অক্সিজেন যোগাড় করতে পারেন না। মূলত, একারণেই অনেক জীবন রক্ষা করা যায়নি।
টেকসই অক্সিজেন সরবরাহের এই কেন্দ্রীয় ভূমিকা উপলদ্ধি করে আন্তর্জাতিক দুটি সহায়তা সংস্থা- ইউনিটএইড এবং ওয়েলকাম যৌথভাবে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধির জন্যে সহযোগিতা এবং এর স্বপক্ষে প্রচারণা চালানোর ভূমিকা নিচ্ছে। ডেক্সামেথাসোন-সহ কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত নানা উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ- 'অ্যাকসেস টু কোভিড টুলস' এর আওতায় এমন পদক্ষপে নিচ্ছে তারা ।
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নেতৃত্বাধীন একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সংস্থাদুটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি 'কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি অক্সিজেন টাস্কফোর্স' গঠনের ঘোষণা দেয়।
ইউনিটএইডের নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ ডুনেটন বলেন, "এটি একটি বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা, তাই এটি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দাতা উভয় পক্ষ থেকে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দরকার।"
মহামারির আগে থেকেই অনেক দেশ অক্সিজেন সরবরাহ সমস্যায় ভুগছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।