সব ম্যাচে আইরিশদের হারালেন সাইফ-শামীমরা
জয়ে শুরু, জয়ে শেষ। পুরো সিরিজজুড়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলই রাজত্ব করে গেল। ফরম্যাট বদলালেও আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে (আয়ারল্যান্ড 'এ') শাসন জারি রেখে একের পর এক জয় তুলে নিয়েছেন সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, শামীম পাটোয়ারীরা। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও আইরিশদের হারিয়ে সব ম্যাচে জয়ের সাফল্য ঝুলিতে পুড়লো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৩১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও দেশে ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন এড়াতে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেই চলে যাচ্ছে আইরিশরা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে অধিনায়ক সাইফ হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারীর দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। জবাবে সুমন খান, তানভির ইসলামদের বোলিং তোপে ১৮.১ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায় আইরিশরা।
চারদিনের ম্যাচ জিতে শুরু হয় সাইফ-হৃদয়দের। একমাত্র চারদিনের ম্যাচে তিন তিনেই আয়াল্যান্ডস উলভসকে ইনিংস ও ২৩ রানে হারায় ইমার্জিং দল। এরপর পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত হয়। সবশেষ একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হার সঙ্গী হলো আইরিশদের।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে আইরিশদের শুরুটা ভালো হয়নি। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গ্যারেথ ডিলানি। দ্বিতীয় উইকেটে চাপ কাটিয়ে উঠলেও বড় জুটি পায়নি সফরকারীরা। অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর ২২ রান করে ফিরলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি।
সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লরক্যান টাকার। এ ছাড়া স্টিফেন ডোহেনি ২৯, নেইল রক ১৬ ও শেন গেটকেট ২৬ রান করেন। ২৮ রান খরচায় সুমন খান ৪টি উইকেট পান। দুটি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। একটি করে উইকেট পান সাইফ ও শামীম।
এরআগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের শুরুটা ভালো না হলেও দলকে চাপ বুঝতে দেননি ম্যাচ সেরা সাইফ। এক পাশ আগলে রেখে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ৩৬ বলের ইনিংসটি ৫টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। ১৬ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রান করে আউট হন ইয়াসির আলী রাব্বি।
এরপর তৌহিদ হৃদয় আর শামীম দলের স্কোরকার্ডে রান জমা করে গেছেন। ৩৫ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন হৃদয়। মাত্র ১১ বলে ৪টি ছক্কায় ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা শামীম রান আউট হয়ে না ফিরলে বাংলাদেশ ২০০ ছাড়ানো স্কোরও পেতে পারতো। আয়ারল্যান্ডের পিটার চেজ ২টি এবং ডিলানি, ক্যাম্পার ও গেটকেট একটি করে উইকেট নেন।