জামিন পেলেন ইরফান সেলিম, ছাড়া পেতে বাধা নেই
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়। ইরফান ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে।
হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
ইরফান সেলিমের আইনজীবী সায়িদ আহমেদ রাজা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এর ফলে এ আদেশের কপি পাওয়ার পর কারাগার থেকে ইরফানের ছাড়া পেতে কোনো বাধা থাকবে না।
বলে রাখা ভালো, গত ২৫ অক্টোবর রাতে হাজী সেলিমের 'সংসদ সদস্য' লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইকেলকে 'সংসদ সদস্য' স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এরপর ওই নৌ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন। এ সময় গাড়িটি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর শুরু করলে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সেদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছরের এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।