কোম্পানীগঞ্জে মেয়র মির্জার নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ, আহত ৬
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারের আজমিরী হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্টে মেয়র মির্জার নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এসময় আবদুল কাদের মির্জা নিজে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম উদ্দিনকে বেদম মারধর করেন। এছাড়াও মির্জার লোকজনের হামলায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে আজমিরী হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জসিম উদ্দিনকে কোম্পানীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জসিম উদ্দিন জানান, সন্ধ্যার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে রাহাতসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কয়েকজন অনুসারী তার হোটেলে নাস্তা করতে আসে। খবর পেয়ে পৌনে ৯ টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক লোক তার হোটেলে হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে হোটেলের বাহিরের সাইন বোর্ডসহ কিছু অংশ ভেঙে দেয়। পরে কাদের মির্জা নিজে হোটেলের ভিতরে ঢুকে তাকেসহ কর্মচারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় মেয়রের লোকজন দোকানে লুটপাট চালায় বলেও অভিযোগ করেন এ ব্যবসায়ী।
অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, হোটেলের মালিক অবৈধভাবে দোকানের বাহিরে একটি অংশ নির্মাণ করেছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রতিনিয়ত বিঘ্ন ঘটছে। কয়েকদিন আগে তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে অতিরিক্ত অংশ না ভাঙায় পৌর কর্তৃপক্ষ তা ভেঙে দিয়েছে এবং তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মেয়রসহ তার লোকজন হোটেল ভাঙচুর করেছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। হোটেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।