মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২০
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সিরাজদিখান থানার ওসি এসএম জালাল উদ্দিন, এসআই সেকেন্দার আলী, হেফাজতের ইসলামের নায়েবে আমির ও মধুপুর পীর আল্লামা আব্দুল হামিদ এবং হাফেজ মাওলানা বশির আহম্মেদসহ যুবলীগের নেতাকর্মী আহত হন। সিরাজদিখান থানার ওসি এসএম জালাল উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও মধুপুর পীর আল্লামা আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নিমতলা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান নেয়। পরে আল্লামা আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর এলাকার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এসময় কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর এলাকায় অবস্থান করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হেফাজত নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়।
এরপর নিকটস্থ বড় বড়শিকারপুর এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ইট-পাটকেল ছুড়ে আহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং ফাকা গুলি ছোড়ে।
এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর, তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে নেতা-কর্মীরা।
এদিকে দুপুর ২টার দিকে মধুপুর ও তেঘরিয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হেফাজতের লোকজন অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, সিরাজদিখান থানার ওসির মাথা ফেটে গেছে। আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিস্তারিত জেনে বলা যাবে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।