লকডাউনের তৃতীয় দিন: আন্তনগর বাস চলছে
দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার আন্তনগর বাস চলাচল করছে। তবে যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ার কারণে বাসের সংখ্যাও কম ছিল।
বুধবার থেকে সরকার সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। এর আগে সোমবার থেকে সাত দিন ব্যাপী সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সালেহ শেখ রাসেল বলেছেন, 'আন্তনগর বাস বুধবার সকাল থেকে আবারও কার্যক্রম শুরু করে তবে বাসের সংখ্যা খুবই কম। যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল তাই বাস মালিকরা খুব কম বাস বের করতে বাধ্য হয়েছে।'
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (মহাখালী) আসাদুজ্জামান বলেছেন, 'সকাল থেকে সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় বাস চলাচল করছে তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাস ও যাত্রী সংখ্যা খুব কম। সরকার রাইড শেয়ারিং সেবা স্থগিত করায়, যারা রাইড শেয়ারিং সেবা নিয়ে চলাফেরা করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করছি।'
তিনি বলেন, 'পাশাপাশি জনগণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে কি না বা মাস্ক পরছে কি না, আমরা তাও মনিটরিং করছি।'
আলিফ পরিবহনের (অপারেশন ম্যানেজার) আশরাফুজ্জামান বলেছেন, 'আমরা স্বাস্থ্য নির্দেশনা অনুসরণ করে ৬০ শতাংশ বাস নামিয়েছি যেখানে সাধারণত চারটি রুটে ২০০টি গাড়ি চলাচল করে। দূরপাল্লার বাসে স্থগিতাদেশ ও যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় আমরা এখন ৬০ শতাংশ বাস পরিচালনা করছি।'
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার (উত্তরা-রাজলক্ষ্মী) জানান, বুধবার সকাল থেকে কেবল আন্তনগর বাস রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সপ্তাহব্যাপী 'ঢিলেঢালা' লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মতো করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড দেখেছে। তবুও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা এবং অটোরিকশা পাশাপাশি মাইক্রোবাস এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং অনেক রাইড শেয়ারিং পরিষেবা স্বাভাবিকভাবে রাজধানীতে চলাচল করতে দেখা গেছে এবং জনগণ কোভিড -১৯ সংক্রমণের ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শপিংমল বন্ধ থাকলেও অনেক এলাকায় দোকানপাট খোলা দেখা গেছে।
নগরীর অনেক এলাকা ঘুরে ইউএনবি সংবাদদাতা দেখেছেন, লকডাউন সত্ত্বেও রাস্তা, গলি এবং গলির মোড়ে দোকান খোলা ছিল।
গণপরিবহন পুনরায় চালু করা
যাত্রীদের দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার লকডাউন চলাকালীন সরকার সিটি কপোরেশনভুক্ত এলাকায় গণপরিবহন পুনরায় চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, ঢাকা, চাটগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর এবং ময়মনসিংহ সিটি কপোরেশনভুক্ত এলাকায় সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে তবে তাদেরকে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে।
কোভিড -১৯ পরিস্থিতির অবনতি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের চলমান ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন। এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৬ জন।