পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ কাজে আসে নি: ক্যাব
ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বলে মনে করছে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্যবের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সাবেক বাণিজ্য সচিব ও ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান।
ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম ভোক্তার নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে।
গোলাম রহমান বলেন, “অক্টোবরের মাঝামাঝিতে বড় শিল্পগ্রুপকে সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুরোধ করা হলেও তারা সময়মত সাড়া দেন নি। এই সংকটকে পুঁজি করে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, আমদানিকারক, আড়তদার, মজুদদার, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দর বাড়িয়ে ভোক্তাদের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।”
ক্যাব জানায়, বিমানে সরাসরি পেঁয়াজ আমদানির পরও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। যদি অক্টোবরে সরকার দেশের ভেতর থেকে পেঁয়াজ না কিনে আমদানি করে সরবরাহ বাড়াতো, তাহলে পরিস্থিতি এতটা নাজুক হতো না।
এসব বিষয় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রহমান বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে পৃথক বিভাগ বা স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজন।”
দেশে প্রতি বছর ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদার যে হিসেব দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গোলাম রহমান। এ সময় পেঁয়াজ ছাড়াও চাল, তেল, আটা, ময়দা, সবজির দাম বৃদ্ধি হওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ আর্থিক চাপে পড়েছে বলেও মনে করেন ক্যাবের সভাপতি।
পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি বলেন, "সেপ্টেম্বর মাসে পেঁয়াজ দিয়ে শুরু হবার পর একে একে চাল, ডাল, ময়দা, আটা, সয়াবিন তেল, ডিমসহ নানা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতকালীন সবজির দাম এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।"
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে লবণের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ে, তবে স্বস্তির কথা এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকারের আরও সচেতন ও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।