সৌন্দর্য বাড়াতে ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট, বিপদে তামিল অভিনেত্রী
আজকের দিনে রূপচর্চা কোনো বিলাসিতা নয়। সুন্দর হতে ছেলে-মেয়ে নির্বেশেষে সকলেই নানান উপায় বা পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। ঘরোয়া টোটকা তো রয়েছে, তবে গ্ল্যামার দুনিয়ার ব্যক্তিত্বরা অনেক সময়ই ড্রামাটোলজিস্টের স্মরণাপন্ন হন নিজেদের সৌন্দর্যকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে তুলতে।
তবে এই রূপচর্চার জেরেই বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছেন তামিল অভিনেত্রী রাজিয়া উইলসন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাজিয়ার দাবি তাকে 'বাধ্য করা হয়েছে' একটি ফেসিয়্যাল ট্রিটমেন্টের জন্য, যার কোনো প্রয়োজন তার ছিল না।
সেই প্রক্রিয়ার উলটো ফল ঘটেছে। যার জেরে অভিনেত্রীর বাঁ দিকের চোখের নিচের অংশ ফুলে গেছে, সেখানে কালসিটে দাগ পড়ে রয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রাজিয়া প্রকাশ্যে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ডার্মাটোলজিস্ট বা ত্বক বিশেষজ্ঞের দিকে। অভিনেত্রীর দাবি, 'গতকাল আমি ড. ভৈরবী সেন্থিলের কাছে একটা সাধারণ ফেসিয়াল ট্রিটমেন্টের জন্য গিয়েছিলাম। উনি জোর করে আমায় এমন একটা পদ্ধতি নিতে বাধ্য করলেন যার কোনো প্রয়োজন আমার ছিল না, এর জেরে এই অবস্থা।'
বিগ বস তামিলের প্রথম সিজনের প্রতিযোগী এখানেই থেমে থাকেননি, তিনি বলেন, এখন সেই চিকিৎসক তাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, এমনকি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে কোনোরকম সাড়াশব্দ দিচ্ছেন না। স্টাফেরা জানিয়েছেন, চিকিৎসক নাকি আপতত শহরের বাইরে।
অপর এক ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রাজিয়া লেখেন, তার অনুরাগীদের মধ্যে থেকেও অনেকেই নাকি এখন ব্যক্তিগত ম্যাসেঞ্জারে এই চিকিৎসকের হাতে প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন, যা শুনে চমকে গিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে 'ভেলাইল্লা পাট্টাধারি ২' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ রাজিয়া উইলসনের। এরপর 'প্যারা প্রেমা কাধাল' ছবির জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন রাজিয়া। এর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মঞ্চে সেরা নবাগতার পুরস্কারও পান।
মূলত বিগ বসের মঞ্চই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।