মার্কিনীদের বিদায়ের পর আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ কী?
আধুনিক বিশ্বে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধ ময়দানের নাম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। সত্তরের দশকে রাজতন্ত্র পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত কখনো গৃহযুদ্ধ আবার কখনো বিদেশী আক্রমণের শিকার হয়ে বছরের পর বছরের কেটেছে আফগানী জনগণের জীবন। তবে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, যে উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়ে ট্রিলিয়িন ট্রিলিয়ন ডলার ও সামরিক শক্তি ব্যয় করলো সে উদ্দেশ্য কি আসলে অর্জিত হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বেশ জটিল।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণাকে তালেবান গোষ্ঠী নিজেদের জয় এবং আমেরিকার পরাজয় হিসেবেই দেখছে। এমনটি তারা ঘোষণাও দিয়েছে ইতোমধ্যে।
২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বর; ইতিহাসে যা 'নাইন ইলেভেন' নামে পরিচিত, এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত বাণিজ্যিক ভবন টুইন টাওয়ারে হামলা চালায় তৎকালীন ওসামা বিন লাদেনের নেতৃতাধীন সংগঠন আল-কায়েদা। এ ঘটনার পরই বিশ্বব্যাপী 'সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান' শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযানের অংশ হিসেবে তালেবানদের উৎখাত করতে ও আল-কায়েদাকে সমূলে উৎপাটন করতে আফগানিস্তানেও হামলা চালায় দেশটি। 'নাইন ইলেভেন' হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেন ও তার দল আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার সমর্থন দিচ্ছে; এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০১ সালের অক্টোবরে আমেরিকান সৈন্যরা কাবুল শহর দখল করে নেয়। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ২০ বছর।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের পতন ঘটিয়ে, দীর্ঘমেয়াদী শান্তি, শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়ে আফগানিস্তানে পদার্পণ করেছিল পশ্চিমা বাহিনী। কিন্তু দীর্ঘ দুই দশকে সেই স্বপ্ন কতটুকু পূরণ হয়েছে সেও এক বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে আফগানীদের সামনে।
ষাটের দশক পর্যন্ত আফগানিস্তানে রাজা ও তার আত্মীয়-স্বজন কেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু ছিলো। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন বাদশাহ মোহাম্মদ জহির শাহের পরাজয়ের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং মোহাম্মদ দাউদ খান নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে আফগানিস্তানকে প্রজাতন্ত্রে পরিণত করেন। তবে দাউদ খানের দখল করা সেই ক্ষমতা টিকে থাকেনি খুব বেশি দিন। ১৯৭৮ সালে আরেকটি অভ্যুত্থানের (ইতিহাসে যা এপ্রিল বিপ্লব নামেও পরিচিত) মাধ্যমে দাউদ খান পরিবারসহ নিহত হন এবং ক্ষমতায় বসেন বামপন্থী দল পিপল'স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ আফগানিস্তান (পিডিপিএ) এর নূর মোহাম্মদ তারাকি। এ সময় সাম্যবাদী আদর্শের কারণে আফগান-সোভিয়েত (বর্তমান রাশিয়া) সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলেও ইসলামী বিদ্রোহী মুজাহেদিনেরা এই শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
মুজাহেদিনদের দমনের মাধ্যমে কমিউনিস্ট শাসনকে টেকসই করার উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে পুরোদস্তুর এক সামরিক আক্রমণ চালায়। মাত্র ছয় মাসের কথা বলে সোভিয়েত সৈন্য পাঠালেও, একে একে কেটে যায় নয়টি বছর। দীর্ঘ নয় বছরের যুদ্ধে একদিকে পিডিপিএ সরকার সোভিয়েত সরকারের কাছ থেকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেত, অন্যদিকে মুজাহেদিনেরা যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, সৌদি আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে সাহায্য পেত। এ সময় কমিউনিস্ট ও পুঁজিবাদীদের এক 'প্রক্সি রণক্ষেত্রে' পরিণত হয় আফগানিস্তান।
১৯৮৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষমতায় আসেন মিখাইল গর্ভাচেভ। তিনি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি সংস্কার করতে শুরু করেন এবং সেই সঙ্গে উপলব্ধি করেন, আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিতে থাকা সোভিয়েতের পক্ষে আফগান যুদ্ধ চালিয়ে নেয়া হয়ে উঠেছিলো এক ভারী বোঝা স্বরূপ। ফলে ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপরেও আফগানিস্তানে শান্তি ফিরে আসেনি, বরং শুরু হয়েছিলো গৃহযুদ্ধ যা দীর্ঘায়িত হয় ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। অবশেষে ১৯৯২ সালে মুজাহেদিনদের লাগাতার আক্রমণে সোভিয়েত মদদপুষ্ট সরকারের পতন ঘটলেও মুজাহেদিনদের ভিতরের দলীয় কোন্দলের কারণে গৃহযুদ্ধ তখনও শেষ হয়নি।
একদল মুজাহেদিন তালেবান নামের একটি ইসলামী মৌলবাদী দল গঠন করে এবং ১৯৯৬ সালে কাবুল দখল করে সরকার গঠন করে। তবে তাদের শাসনব্যবস্থাকে নৃশংস ও বর্বর হিসেবে সমালোচনা করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযানে ২০০১ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় উত্তরাঞ্চলীয় জোট তালেবানদের পতন ঘটায়। এরপর আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অবস্থানকালেই, ২০০৪ সালে একটি নতুন সংবিধান পাশ হয়। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টভিত্তিক সরকার ব্যবস্থায় একই বছর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আফগানিস্তানে প্রথম সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপরেও শান্তি স্থাপন সম্ভব হয়নি আফগান ভূমিতে।
বিগত প্রায় দুই দশক ধরে আগফানিস্তানে চলেছে বহুজাতিক বাহিনীর 'সন্ত্রাস দমন ও শান্তি স্থাপনের' প্রক্রিয়া। ২০০১ সালে আফগানিস্তানের তলেবান উৎখাত তথা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বহি:আক্রমণ ও সন্ত্রাসী হামলা থেকে আমেরিকার স্বদেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, আফগান যুদ্ধে আমেরিকার প্রধান দুই উদ্দেশ্য ছিলো আল-কায়েদার সমূলে উৎপাটন এবং স্বদেশে আবারও যেকোনো ধরণের সন্ত্রাসী আক্রমণ রোধ করা। ইতোমধ্যে এই দুই উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে। তাই আফগানিস্তানে এখন আর মার্কিন সৈন্যের উপস্থিতির কোনো কারণ নেই।
তবে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলেও আফগানিস্তানে শান্তি কতটা প্রতিষ্ঠা হবে সে নিয়েও রয়েছে বড় সংশয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন সৈন্যের অনুপস্থিতির সুযোগে আফগান ভূমিতে আবারও তালেবান ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা রয়েছে। কেননা, বর্তমান সরকারের পক্ষে তালেবানদের মোকাবেলা সম্ভব হয়ে উঠবে না। ফলে আবারও গৃহযুদ্ধ শুরুর হবে আফগানিস্তানে।
অন্যদিকে, তালেবান গোষ্ঠী ঘোষণা দিয়েছে, যতদিন পর্যন্ত আফগানিস্তানে বিদেশী বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে ততদিন পর্যন্ত তারা সরকারের সাথে কোনো শান্তি আলোচনায় যাবে না।
অর্থ্যাৎ, আফগানিস্তানের সামনে এখন উভয় সংকট। যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের পাশে আছে। কিন্তু পাশে থেকে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের সম্পর্ক বজায় রাখবে বা সহযোগিতার ক্ষেত্রেগুলো কি হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই বলেননি মি. প্রেসিডেন্ট।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী সব মিলিয়ে ২০০১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৮২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া ২ হাজার ৩০০ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে এবং ২০ হাজার ৬৬০ সেনা আহত হয়েছে। বলা বাহুল্য, এত ক্ষতির পরেও যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার তেমন বিশেষ কোন কারণ এখন আর নেই। কেনোনা, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এখন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এসে হাজির হয়েছে। তাই আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলো কি না হলো সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তেমন আগ্রহ নেই।
মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নিলেও বর্তমান আফগান যুদ্ধে আরও বেশ কতগুলো কর্মক (Actors) কাজ করবে, যেগুলো হলো আফগান সরকার, তালেবান গোষ্ঠী, বৈদেশিক সৈন্য এবং আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহ।
এছাড়াও সেখানে ইসলামিক স্টেটের (ISIS) শাখা "ইসলামিক স্টেট খোরাসানের" উপস্থিতি রয়েছে, যেটাকে পশ্চিমা বিশ্ব খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না। কারণ ইসলামিক স্টেট দ্বারা যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্বের আক্রান্ত হওয়ার তেমন সম্ভবনা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে এই জঙ্গি শাখা আত্মপ্রকাশের কিছু দিনের মধ্যেই ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের কাবুল এবং পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিলো। যদিও গতবছর এক অভিযানে আফগান সেনাবাহিনী আই এস খোরাসানের প্রধান আনাদুল্লাহ ওরাজকাই নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে, তারপরেও গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টরা মনে করেন নতুন নেতৃতের অধীনে যেকোনো সময় এই জঙ্গি সংস্থা আবারও নাশকতা সৃষ্টি করেত পারে।
অর্থ্যাৎ মার্কিন বাহিনী তাদের দিক থেকে "চিরস্থায়ী যুদ্ধ" (Forever/endless war) এর ইতি টানলেও আফগানিস্তান কোনোভাবেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০০ থেকে প্রায় ৩৫০০ সৈন্য এখনও আফগানিস্তানে অবস্থান করছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, অর্থ্যাৎ টুইন টাওয়ার হামলার দুইদশক পূর্তির দিনেই সকল মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৃটেনও তার প্রায় ৭৫০ জন সেনা সদস্য ফিরিয়ে নিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
পশ্চিমা বাহিনী ফিরে গেলে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নিলে আফগানিস্তান যে বড় ধরণের অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। অর্থনৈতিক সংকটের সাথে কোভিডের নেতিবাচিক প্রভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ইত্যাদি বাড়ারও সম্ভবনা রয়েছে।
তবে বৃটেনের সেনাপ্রধান বলেছেন, ২০০১ সালের চেয়ে বর্তমানে আফগানিস্তানের অবস্থা বেশ ভালো। তালেবান বাহিনীর মনোভাব আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে এবং পশ্চিমা বাহিনী সেখানে আগের তুলনায় বেশ সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
পশ্চিমারা এমন দাবি করলেও আফগানিস্তানে সহসা শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এমন আশা করা যায় না। বরং পশ্চিমা বাহিনীর প্রত্যাহার দেশটিকে আরও সংকটে ফেলবে বলেই ধরে নেয়া যেতে পারে।
ধারণা করা হয় আল-কায়েদার কিছু সদস্য আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে এবং কিছু সদস্য এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী স্থানে লুকিয়ে আছে। পশ্চিমা বাহিনী প্রত্যাহারের সাথে সাথেই এইসব জঙ্গি বাহিনীর সদস্যরা যে তৎপর হয়ে উঠবে না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এসব জঙ্গি বাহিনী তালেবানের সাথে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে। আবার এককভাবেও তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারে। এটা অনেকটাই নির্ভর করছে তালেবান গোষ্ঠী কী চাইবে তার উপর।
পশ্চিমা বিশ্ব তথা যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলের ছোট খাটো জঙ্গি দলগুলকে বর্তমানে নিজেদের জন্য বড় ধরণের হুমকী হিসেবে দেখছে না। বরং চীন এবং কোভিড মোকাবেলাই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত মনোযোগকে ঘিরে রেখেছে। কিন্তু আল-কায়েদা এবং আইএসআইএস খোরাসানের তৎপরতা যদি বাড়ে তাহলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের জন্যও হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পশ্চিমা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে এ অঞ্চলে নীরব থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলো আফগান ভূমিকে তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ পূর্বেই দেখা গেছে তালেবান গোষ্ঠী আল-কায়েদাদের সমর্থন দিয়েছিল। এমন অবস্থায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়াও খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটা আফগানিস্তানের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ তথা দক্ষিণ এশিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের জন্যও অবশ্যই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তবে যেটাই হোক, কোনো কিছুই এখানে নিশ্চিতরূপে বলা না গেলেও এটা মোটামুটি ধারণা করা যায় যে, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। গৃহযুদ্ধ ও সন্ত্রাসী তৎপরতার সম্ভবনাকে ছাপিয়ে শান্তি ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আফগানীদের এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দেয়া বাকি।
- লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- ইমেইল: [email protected]