ঈদের আগে গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে বিচারপতির কাছে বিশিষ্ট নাগরিকদের আবেদন
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে গত দুই মাস ধরে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের জামিন দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে প্রধান বিচারপ্তি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ১৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
পুলিশি হেফাজতে তাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে কিনা জানতে তদন্তের দাবিও জানান তারা।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত তাদের পুলিশ রিম্যান্ডে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ তাদের যে সব মামলায় গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে, তা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরের পুরনো।
শনিবার প্রধান বিচারপতিকে পাঠানো তাদের চিঠিতে বলা হয়, মামলাগুলো রাজ‣নতিক হয়রানীর জন্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
"দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সামনের ঈদ এবং সর্বোপরি ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমাদের সন্তানতুল্য এই ছাত্ররা অবিলম্বে জামিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকারী বলে আমরা মনে করি," বলা হয় চিঠিতে।
চিঠিটিতে স্বাক্ষর করেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, হাফিজ উদ্দিন খান, আ. স. ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না,অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বদিউল আলম মজুমদার, নারীনেত্রী শিরিন হক, লেখক নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জোনায়েদ সাকি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যার বিরুদ্ধে কটুক্তি বা মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আসে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করতে পারবে না- প্রধান বিচারপতিকে এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেন তারা।
নিম্ন আদালতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে শিক্ষার্থীরা জামিন লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
"দেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব প্রদান করছেন আপনি," বিচারপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান তারা।