‘ব্যাকফুটে’ থেকেও সুজনের চোখ সিরিজ জয়ে
ঘরের মাঠে গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয়ের স্বাদ মিলেছিল। এরপর কেবলই হারের গল্প। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারে শুরু। এরপর নিউজিল্যান্ডে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজ হার। সব মিলিয়ে হারের বৃত্তে বন্দি বাংলাদেশের দেয়ালে ফিট ঠেকার অবস্থাই।
খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষায় এটা 'ব্যাকফুট' অবস্থা। যদিও এই 'ব্যাকফুট' অবস্থা তাকে চিন্তিত করতে পারছে না। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান বিসিবি পরিচালকের মতে, ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশই। ঘরের মাঠ ও ফরম্যাট বিবেচনায় সুজনের কাছে এমনই মনে হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের অভিভাবক হিসেবে থাকা সুজন বলেন, 'অবশ্যই আমরা ঘরের মাঠে সিরিজ জিততে চাই। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের সামর্থ্য আছে সিরিজ জেতার। যদিও বেশ কিছু খেলায় হেরে আমরা ব্যাকফুটে, কিন্তু এই ফরম্যাটে আমরা বেশ দুর্দান্ত দল। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের কন্ডিশনে যদিও খুব বেশি ফারাক নেই, তবু খেলা আমাদের ঘরের মাঠে। আমরা চেষ্টা করব নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে। আমি বিশ্বাস করি সিরিজটা আমরা জিতব।'
দলের ব্যর্থতায় প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। চাকরিও চলে যেতে পারে প্রোটিয়া এই কোচের। যদিও সুজনের কথায় মনে হয়েছে, তিনি এমন কিছু চান না। বিসিবির এই পরিচালক জানান, দলের ভালোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, 'সে জেতার জন্য মরিয়া। একটা কোচ তো জিততে চায়, সে চাইবে যতো ভালো ফল এনে দিতে পারে। সে চেষ্টা করছে কিন্তু হয়তো তার দুর্ভাগ্য, হচ্ছে না। তবে ট্রেনিং যে খারাপ হচ্ছে, সত্যি বলতে আমি এমন বলব না। ব্যাপারটা এমন নয়। আমাদের কিছু ভুল হচ্ছে। হয়তো পরিকল্পনাতেও কিছু ভুল আছে, আমি এটা অস্বীকার করব না '
'আমি মনে করি আরও যোগাযোগনির্ভর হতে হবে। আমি জানি না কতদিন সে থাকবে বা কী বিষয়, এটা বোর্ডের ব্যাপার। এটা নিয়ে আমার কথা বলাটা একদমই অনুচিত। আমি যতটুকু ওকে কাছ থেকে দেখেছি, আমি বলব সে কাজ করে, সে ছেলেদের উৎসাহ দেয়। অনেক সময় পরিকল্পনার সঠিক প্রয়োগ হয়, অনেক সময় হয় না। সেটা দিয়ে আপনি তাকে দোষও দিতে পারেন না।' যোগ করেন সুজন।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ১৬ মে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। এসে সাতদিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে লঙ্কানদের, এর মধ্যে তিন দিন রুম কোয়ারেন্টিন। ২৩ মে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। পরের দুটি ওয়ানডে ২৫ ও ২৮ মে মিরপুরেই অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই হবে দিবা-রাত্রির।