১২ দিন পর হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি
সড়কপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আইপি শেষ হওয়ায় ও নতুন করে আইপির অনুমোদন না পাওয়ায় কয়েকদিন ধরেই বাড়ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় মশলা জাতীয় পণ্যটির দাম। গত ২৯ এপ্রিল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম বাড়তে শুরু করে। এমন অবস্থাতে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১২ দিন পরে ঈদে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে এক হাজার ৬০৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর দিয়ে ৪২টি ওয়াগন নিয়ে পেঁয়াজবাহী মালবাহী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। হিলির ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রাইহান ট্রেডার্স নাসিক জাতের এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'সড়কপথে আইপি না থাকলেও রেলপথে আনার আইপি থাকায় ৪২টি ওয়াগনে সর্বমোট এক হাজার ৬০৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। ঈদে দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে ও দাম সহনীয় রাখতে রেলপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।'
হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তপন কুমার বলেন, 'পেঁয়াজ নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি আসায় ভাড়া বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। পেঁয়াজ নামানোর পর ট্রেনটির পুনরায় বিরল বা দর্শনায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।'
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, পেঁয়াজের আইপি ইস্যু ২৯ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোনো পেঁয়াজের আইপি ইস্যু হয়নি। তবে হিলি স্থলবন্দরের একজন আমদানিকারকের রেলপথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি ছিল, যেটির মেয়াদ ৮ জুন পর্যন্ত রয়েছে। তার মাধ্যমে রেলপথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। কয়েকদিন আগে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা দরে। আর ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরের দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।