ফাইনালিস্ট হয়েও মীরাক্কেলে অংশ নিতে পারছেন না রিমন ও রাশেদ
বাংলাদেশের রিমন ও রাশেদ দুজনই ফাইনালে জন্য চূড়ান্ত হয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো তাদের দারুণ পারফরম্যান্স দেখা যেত ভারতের টিভি চ্যানেল জি বাংলার কমেডি শো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার সিজন টেন এ।
কমেডি নিয়ে জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে এ বছর চার প্রতিযোগী অংশ নিতে পেরেছিলেন। তবে সেটাও করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করেই। শেষ অবধি টিকে ছিলেন তিনজন- আবিদুল ইসলাম রিমন, আফনান আহমেদ রাশেদ ও তৌফিক এলাহী আনসারী। এদের মধ্যে তৌফিক ফাইনালে অংশ নিতে পারলেও বাকি দুজন রয়ে গেছেন দেশে।
চলমান লকডাউন ও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে আগামীকাল (রোববার) আয়োজিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দেখা যাচ্ছে না রিমন ও রাশেদের পারফরম্যান্স। থেকেও যেন নেই এই দুই প্রতিযোগী। যদিও প্রতিযোগিতার বিভিন্ন সময়ে তাদের পারফরম্যান্স সমাদৃত হয়েছে। পছন্দ করেছেন বিচারকসহ দর্শকেরা। পেয়েছেন রসিক রত্ন সম্মানও।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ বলেন, 'শুটিং শিডিউলের ফাঁকে বিশেষ কাজে দেশে এসেছিলাম। এরপর লকডাউনে পড়ে যাই। ফ্লাইটের টিকিট কেটেছিলাম, সেটাও ক্যানসেল হয়ে যায়। জি বাংলা অনেকভাবে চেষ্টা করেছে, কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তবে ভালো লাগার বিষয়, অফিশিয়ালি আমাকে ফাইনালিস্ট স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমি দর্শকসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।'
রাশেদ আরও বলেন, 'ফাইনালে সবচেয়ে বেশি মিস করব ট্রফিটা। এমনও তো হতে পারত, আমরাই ট্রফিটা নিয়ে এলাম।'
আরেক প্রতিযোগী রিমন বলেন, 'মীরাক্কেলে অংশ নেওয়া আমার স্বপ্ন ছিল। সেটা পূরণ হয়েছে। ফাইনালে থাকতে না পেরে খানিকটা খারাপ লাগছে। তবে অংশ নেওয়াটা আমার জন্য আনন্দের ও সৌভাগ্যের। সেখানে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।'
তবে সরাসরি অংশ না নিলেও ছোট্ট একটা অংশে দেখা যাবে দুজনকে। দেশ থেকে একটা শুভেচ্ছা ভিডিও পাঠিয়েছেন তারা। সেটাই দেখা যাবে ফাইনালের স্ক্রিনে।
আরেক প্রতিযোগী তৌফিক আনসারীর পারফরম্যান্স দেখা যাবে সরাসরি।
জানা গেছে, রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় প্রচারিত হবে গ্র্যান্ড ফিনালে। বরাবরের মতো মীর আফসার আলীর উপস্থাপনায় জমজমাট এই শো বাংলাদেশ ও ভারতের হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেন।