বাজেট যেমন বড়, তেমনি বড় হতাশা
সবচেয়ে বড় অংকের বাজেট ঘোষিত হয়েছে। বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট (২০২১-২২ অর্থ বছরে) ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ হাজার কোটি টাকার। জনগণের জন্য বাজেটে বৃহৎ অংক দিয়ে প্রমাণের দরকার পড়ে না। দ্বিতীয়ত এতো টাকা আসবে কোত্থেকে? যাদের কর দেবার তারা দিল না, বরং উলটা সুবিধা পেল। ব্যয় বাড়লো সাধারণ মানুষের, যার কোন সুবিধা তারা পেল না। কাদের জন্য বাজেট বোঝা যায় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ও তার বাস্তবায়নের অবস্থা দেখে। তাছাড়া বাজেটের টাকার জোগাড় দিতে হয় জনগণকেই। রাষ্ট্রের খাইখরচ খরচপাতি নির্বাহ করে জনগণ, কিন্তু জমা হয় অল্প কিছু ধনী পরিবারের পকেটে। এই গোড়ার বৈষম্য বাংলাদেশে মোচন হয় নি।
এরপর ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের পার্থক্য। বাজেট ঘোষণা সবসময়ই রাজনৈতিক ব্যাপার। সরকার কতো ভাল প্রমাণ করবার দায়হীন দায়িত্বহীন হাঁকডাক। অন্যদিকে আরেকপক্ষ থাকবে যারা নিন্দা করবার জন্য তৈরি। পত্রিকায় কয়েকদিন ধরে সেইসব ছাপা হবে। যেসব পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে সেইসব লেখা হবে তাদের অধিকাংশই অনির্ভরযোগ্য।
বাজেট ঘোষণার পর আসল কাজ হচ্ছে বাস্তবায়ন। বড় বড় কথা বলা হলো, কিন্তু কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, কিম্বা বাস্তবায়নের সামর্থ সরকারের আছে কিনা তার কোন খবর নাই। বাস্তবায়নে অনেক সমস্যা থাকে, কিন্তু সেটা জানা যায় পরবর্তী বাজেট ঘোষণার আগে। ব্যর্থতার সাফাই গাইবার কাজে। এখন জানা যাবে না। বাজেট প্রণয়ন হয় সারা বছর জুড়ে, বাজেটে বিভিন্ন খাতে যারা বরাদ্দ বৃদ্ধ্বি করাতে চান এবং যারা অর্থনৈতিক অবস্থার পর্যালোচনা করেন তাঁরাও তাদের কথা সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দিতে বেশ ব্যস্ত থাকেন। বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু পরিকল্পিতভাবেই তাকে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে। আমাদের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনা এবং অর্থনৈতিক সমস্যা চিহ্নিত করতে পারা এবং তার বাস্তব সমাধানের দিক থেকে বাজেট নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা দরকার। কিন্তু তেমন কোন কার্যকর ঐতিহ্য বাংলাদেশে গড়ে ওঠে নি।
মেলা প্রস্তুতির পরও ২০২১-২২ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষিত হয়েছে সেখানে জনগণ হাজির নাই। সার্বিকভাবে যেসব দাবি জনগণের পক্ষে করা হয়েছিল তার প্রতিফলন নাই বললেই চলে। আগেও খুব একটা দেখা যায় নি। অতএব হতাশা বেড়েছে। প্রতিবছরের বাজেটেই তা হয়ে থাকে, এটা নতুন কিছু নয়। তবে এবারের বাজেটে কোন লক্ষ্য অর্জন বা কোন ভিশন ফুটে উঠে নি। জাতীয়, আঞ্চলিক কিম্বা বিশ্ববাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অর্থনৈতিক সংকটের চরিত্র নিয়ে কোন আলোচনা সমাজে নাই বললেই চলে। আমরা কি জানি আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? 'সুদৃঢ় আগামির পথ'টাই বা কি?
বরাদ্দের পরিমাণের দিক থেকে এবারে গুরুত্ব পেয়েছে জীবন ও জীবিকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কৃষি খাত। করোনাকালের বাজেট হিসেবে এটা দ্বিতীয় বাজেট, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বোঝার কথা ছিল না। কিন্তু ২০২১-২২ এর বাজেটে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা 'লকডাউন' বা বিধিনিষেধের ব্যবস্থা দেশের মানুষের জীবন জীবিকার ওপর মারাত্মক আঘাত হেনেছে। অথচ বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দলীয় ভাষায় নিজেদের ভাল ভাল কাজের ফিরিস্তি দিলেন। এটা দেশের বাজেট, এখানে দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করছে। বাঁচা-মরার প্রশ্ন কাউকে ছাড় দেয় না। সেই দিক থেকে অর্থমন্ত্রী ১৭ কোটি মানুষের হয়ে কথা বলেন নি। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তিনি উল্লেখ করেছেন সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছে, এর জন্যে ৫ বছর সময় পাওয়া যাবে। কাজেই অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।
আমরা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আছি। এই বাজেট ঘোষণা পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮০ হাজার, মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি। তার পাশাপাশি আরও যে পরিসংখ্যান আমাদের দরকার ছিল সেটা হচ্ছে লকডাউন ও অর্থনৈতিক চাপের কারণে কত মানুষ নতুন দারিদ্রের পর্যায়ে নেমে গেছে তাদের সংখ্যা। এই পরিসংখ্যান বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। বাজেট বক্তৃতায় যেসব প্রণোদনা ও উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম তা বলাই বাহুল্য। সে কারণে আমরা দেখতে পাই লকডাউন ঘোষণা করলে জীবন-জীবিকার প্রশ্ন বারে বারে উঠে আসে। খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে ঘরে বসে থাকা সম্ভব হয় না; তারা বলে করোনায় যেমন মরবো, তেমনি ক্ষুধাতেও মরবো। কাজেই তাদের কাজ করতেই হবে।
কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে গেলে কাজও কমে যায়। ফলে ঘর থেকে বের হয়েও কাজ পাওয়া যায় না। দরিদ্রতা বেড়েছে; মানুষের আয় কমে গেছে। এসব কথা বাজেট বক্তৃতায় স্থান পায় নি। সরকার যেসব সহায়তা করেছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় কতটুকু ছিল তারও কোন হিসাব আমরা পাইনি। গরিব মানুষের জন্যে প্রণোদনা বলে কি কিছু ছিল? কেবল কিছু খাদ্য সাহায্য বা নগদ সহায়তা দিয়ে কত দিন বাঁচা যায়?
বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এই অগ্রাধিকার টাকার অংকে বেড়েছে মনে হলেও কার্যক্ষেত্রে তা কতটুকু বেড়েছে এবং কতটুকু জনগণের কাজে আসবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে এবারের বরাদ্দ ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরে তা ছিল, ২৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় তিন হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটা কি আসলে খুব বেশি? করোনা সংক্রমণ শুরু হবার পর যে খাতটি নিয়ে জনগণ সবচেয়ে বেশি ভেবেছে, এবং সম্পৃক্ত হয়েছে তা হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা খাত। স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থাপনা কার্যকর থাকা যে কত জরুরি সেটা করোনার মহামারীর আগে বোঝা যায় নি। স্বাস্থ্য সেবায় বাজেট সব অর্থ বছরেই প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল, আবার স্বাস্থ্য সেবার বাজেটে বরাদ্দ দেয়া টাকা অব্যবহৃত থেকে যাওয়ার ঘটনা প্রায় প্রতি বছর ঘটেছে। তার ওপরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে প্রায়, করোনার সময় আরও বেশি। করোনা মহামারি রুখতে জরুরি প্রয়োজনে বাজেটে দশ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে। এই টাকা ভ্যাক্সিন এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতেই খরচ হয়ে যাবে। সেই বরাদ্দ সরকারের অবশ্যই থাকা উচিত। সেই ক্ষেত্রে ১০,০০০ কোটি টাকাও যথেষ্ট নয় মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আবার স্বাস্থ্য সেবা খাতের বরাদ্দের বিষয় আর করোনা মোকাবেলার বিষয় এক করে দেখার সুযোগ নেই বলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। করোনা ছাড়াও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন, যা করোনার সংক্রমণের সময় অবহেলিত থেকেছে। কিন্তু রোগ তো থেমে থাকে নি।
জনগণের সবচেয়ে বড় অংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকেই সেবা পায়, অথচ স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের মাত্র ২৫% এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার জন্যে যায়। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বেশীর ভাগ টাকা খরচ করা হয় উচ্চ পর্যায়ের সেবায়। করোনা সংক্রমণ এই পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করেছে, কারণ স্বাস্থ্য সেবার অবকাঠামো এবং জনবল একই রেখে করোনা মোকাবেলা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রামক রোগ, তাই হাসপাতালগুলো সাধারণ রোগীর চিকিৎসার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই দুরবস্থা আমরা গত বছরই দেখেছি। এই অবস্থায় কেবল মাত্র রাজধানী এবং জেলা শহরের হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানোর যতো চেষ্টা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে পারার সক্ষমতা অর্জন চেষ্টা ততটা হয় নি।
এই বছর বাজেট যখন পেশ হচ্ছে তখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবাই হিমশিম খাচ্ছে, তৃতীয় ঢেউ আসবে এমন একটি সম্ভাবনার আভাসও রয়েছে। প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে আগমনকারী যাত্রীদের মাধ্যমে। এবং তা ঢাকা এবং ঢাকার আশে পাশের জেলাগুলোতেই ছড়িয়েছে বিশেষ ভাবে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন স্থল সীমান্তের জেলাগুলো করোনা ঝুঁকির মধ্যে আছে। কোথাও কোথাও সংক্রমণের হার ৫০% এরও বেশি। ভারতের করোনা ভ্যারিয়েন্ট এসেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, কিছু শনাক্তও হয়েছে। অন্যদিকে ঈদের সময় ঢাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে গেছেন তাদের মাধ্যমেও ছড়িয়েছে মনে করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হলে সেই সক্ষমতা নেই, বাজেটেও তার কোন ইঙ্গিত নেই। হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার মূল উপকরণ হচ্ছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকা। যার অক্সিজেনের প্রয়োজন তাকে নিয়ে দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। সব স্তরের হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই, জনবল নেই, কিন্তু করোনা বাড়ছে। অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে মানুষ কোথায় যাবে?
জনস্বাস্থ্যের দিক থেকে আরেকটি বাজেটকেন্দ্রিক হাতিয়ার হচ্ছে ক্ষতিকর পণ্যের ওপর করারোপের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দিয়ে ব্যবহার কমানো। তামাক দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্যে উচ্চ হারে করারোপ জনস্বাস্থ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অথচ সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর কর এবার খুব বাড়ে নি, শুধু সিগারেটের দাম বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গরিব মানুষ, যারা বিড়ি খায় এবং নারীরা যারা পানের সাথে জর্দা খায়, এবং গুল ব্যবহার করে, তাদের জন্যে আগের মতোই দাম রয়ে গেছে। অর্থাৎ তাদের জর্দা-গুলের ব্যবহার কমবে না। এতে বোঝা যায় সরকার গরিবের স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন। তামাক নিয়ন্ত্রণের কাজে যেসব সংগঠন আছে তারা এই নিয়ে গত কয়েক মাস অনেক দেনদরবার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে। কিন্তু তামাক কোম্পানির চাপের কাছে জনস্বাস্থ্য রক্ষার দাবি টেকে নি, এটা খুবই হতাশাব্যাঞ্জক। করোনা মহামারীর জন্যেও এটা হুমকির, কারণ তামাকসেবীদের করোনা হলে তাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।
করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যারা সুস্থ করে তুলেছেন সেই স্বাস্থ্য কর্মীদের (ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান) জন্যে যথেষ্ট প্রণোদনা দেয়া হয় নি। যদিও বাজেট বক্তৃতায় তাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এবং বিশেষ সম্মানী দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, কিন্তু সারা দেশে লক্ষ লক্ষ স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্যে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখার দরকার ছিল। এবং তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থার দরকার ছিল।
সরকার জীবন ও জীবিকার বাজেট দিতে চেয়েছেন, কিন্তু জীবন বাঁচানোর ন্যূনতম সমাধান সরকার দিতে অক্ষম। এর কারণ হচ্ছে অবাধ বাজার ব্যবস্থা ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। হবেই। অবাধ বাজার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মুনাফালোভী কোম্পানি বনাম উৎপাদনমুখী ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে সক্ষম বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পরিষ্কার ফারাক করতে হবে। কিন্তু বাজেটে তার কোন প্রতিফলন নাই। তাই আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এই বাজেট কোন আশা জাগানিয়া বার্তা দেবে না। বরং হতাশা বাড়াবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ আরও অনেক বড়।
বড় বাজেটে হতাশাও বড় হবে।
- লেখক: প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী