মুশফিকের ব্যাটে আবাহনীর তিনে তিন
নেতৃত্বভার তার ওপর, ব্যাট হাতে অবদান রাখায়ও তিনি নেতা। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেই জয় দিয়ে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি শুরু করে আবাহনী লিমিটেড। দ্বিতীয় ম্যাচে না পারলেও তৃতীয় ম্যাচে নেতা মুশফিকের দেখা মিললো। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে আরেকটি জয় এনে দিলেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। টানা তিন ম্যাচে জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো ঐতিহ্যবাহী দলটি।
বৃষ্টির হানায় সময় মতো মাঠে গড়ায়নি ম্যাচ। সময় কাটা যাওয়ায় ১১ ওভারের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আলাউদ্দিন বাবু ও জাহিদুজ্জামানের শেষের ঝড়ে ৫ উইকেটে ১০১ রান তোলে ব্রাদার্স। জবাবে নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে সাত বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় আবাহনী।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি আবাহনীর। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান যোগ করেন নাঈম শেখ ও মুনীম শাহরিয়ার। মুনীম ২৫ রান করেন ফেরার পর জয় তুলে নেওয়ার কাজটুকু সারেন নাঈম ও মুশফিক। নাঈম ২৬ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ৩৬ রান করেন। ম্যাচ সেরা মুশফিক ২১ বলে ৬টি চারে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এরআগে ব্যাটিং করা ব্রাদার্সের শুরুটাও খারাপ ছিল না। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩৮ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভেঙে ব্রাদার্সকে রীতিমতো দিক ভুলিয়ে দেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তানজিম হাসান সাকিব। দুজনই বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্যের শিকার। মিজানুর ও জুনায়েদ ২০ রান করে করেন।
এরপর ব্রাদার্সের ৩ জন ব্যাটসম্যান দ্রুতই ফিরে যান। দুজন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শেষের দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আলাউদ্দিন বাবু ও জাহিদুজ্জামান। ১০ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন আগের ম্যাচেই বল হাতে হ্যাটট্রিক করা ডানহাতি পেসার আলাউদ্দিন। ১০ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ২৫ রান করেন জাহিদুজ্জামান। ব্রাদার্সের ম্যাচ সেরা তানজিম সাকিব ৩টি ও আরাফাত সানি ২টি উইকেট নেন।