নোয়াখালীতে লকডাউন দিয়েও কমছে না সংক্রমণ, ৫ দিনে নতুন শনাক্ত ৩২৩
করোনা সংক্রমণ রোধে নোয়াখালী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন দিয়েও কমছে না করোনা সংক্রমণ। লকডাউন চলকালীন গত ৫দিনে জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৩ জন, যার মধ্যে লকডাউনকৃত পৌরসভা ও সদর উপজেলায় রয়েছেন ২০২ জন রোগী। লকডাউনের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি মানুষ। ঢিলেঢালা লকডাউনের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলে বলছেন সচেতন মহল।
এদিকে গত ৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক রয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, লকডাউন শুরুর প্রথমদিন ৫ জুন করোনায় নতুন আক্রান্ত হয়েছিল ৩ জন, যার মধ্যে সদরে ছিল ১ জন। তবে শুক্রবার নমুনা কম সংগ্রহ হওয়ায় শনাক্ত কম ছিল। পরদিন ৬ জুন সদর উপজেলায় ৭১ জন, ৭ জুন ৩৫, ৮ জুন ৪৯ এবং ৯ জুন আরও ৪৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়। লকডাউনের পাঁচ দিনে সদর উপজেলায় মোট আক্রান্ত ২০২ জন।
বিশেষ লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি করছে বেশির ভাগ মানুষ। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও সিএনজি অটোরিকশাগুলো ৪-৫জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ফুটপাতের হকারের দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে। বিকেলে হাউজিং বালুর মাঠেও দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ফুচকা, চটপটি ও বাদামের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোকে ঘিরে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা বিভিন্ন অজুহাতে মাস্ক পরছেন না নোয়াখালীর বাসিন্দারা।
এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৭টি টিম। লকডাউনের পঞ্চম দিনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৪১টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১০ হাজার ৯০০টাকা জরিমানা করেছে তারা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন (শুক্রবার) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরের ৬টি ইউনিয়নে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ বিশেষ লকডাউন ৫ জুন শনিবার ভোর ৬টা থেকে ১১ জুন শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত বলবত থাকবে।