গণপরিবহনে অবাধ চলাফেরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ব্যবসা বাণিজ্য ও গণপরিবহনে মানুষ অবাধ চলাফেরা করায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার বাড়ছে। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মানুষের যাতায়াত বাড়ছে। আমের মৌসুমে আম কেনাকাটা ও ধান কাটার জন্য লোক যাওয়া আসা করেছে। এ কারণে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও নওগাঁ জেলায় করোনা সংক্রমণ হার বেশি। কোনো কোনো জেলায় করোনা ৩০-৪০ শতাংশ হয়ে গেছে। এদিকে নোয়াখালিতেও করোনা বাড়তি এবং রাজবাড়ী পর্যন্তও করোনা সংক্রমণ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া নিজ বাসবভনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, 'সংক্রমণের হার যদি আমাদের রোধ করতে হয়, তাহলে কঠোরভাবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণ পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী যাতায়াত করে। এসব কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে। অতএব গণপরিবহনে সরকারের নির্দেশ মেনে যাতায়াত করতে হবে এবং অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। আমরা দেখছি গণপরিবহনে এসব মানা হচ্ছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলোতে রোগীতে ভরে গেছে। রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। আমরা চাই না ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলাতে এই সমস্যা দেখা দিক।'
মন্ত্রী বলেন, "দেশে যখন করোনা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন সারা দেশে ১৫'শর মতো রোগী ছিল। সংক্রমণ বাড়ায় বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজারের মতো রোগী আছে এবং প্রত্যেক দিন প্রায় ৪ হাজারের কাছে রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান হারে যদি রোগী বাড়ে, তাহলে কোনো এক সময়ে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।'
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীনসহ অন্যান্যরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।