যেখানে শুটিং সেখানেই হলো কাঠবিড়ালীর প্রিমিয়ার
২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার গজারমারা গ্রামে তাপমাত্রা ছিলো ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে ছিলো শীতের হাড় কাঁপানো বাতাস। তবে আবহাওয়ার এমন বৈরিতা গ্রামের মানুষদের কাছে কোনো বাধাই হয়ে ওঠেনি। ঠিক সন্ধ্যায় পুরো গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা হাজির হয়েছিলেন আমবাগানে। যেখানে প্রথম ক্যামেরা চলেছিল ‘কাঠবিড়ালী’ সিনেমার। সেই আমবাগান অবশ্য এখন আর নেই। কেটে ফেলা হয়েছে। তবে সেই আমবাগান পুরোটা আছে কাঠবিড়ালী সেলুলয়েডের ফিতায়।
গজারমারা গ্রামেই শুটিং হয়েছে এই গ্রামের তরুণ নিয়ামুল মুক্তার প্রথম সিনেমা কাঠবিড়ালীর। দুই বছর আগে শুটিং শুরু হয়েছিল এই সিনেমার। বলা যায়, নিজের গ্রামকে পুরোটা শুটিং ফ্লোর বানিয়ে আর গ্রামের মানুষদের ইউনিটের সদস্য বানিয়ে শেষ করেছেন সিনেমা। তাই সবার আগে পরিচালক মুক্তা সিনেমা নিয়ে এসেছেন গ্রামবাসীর কাছে। সেই আমবাগানে আয়োজন করেছিলেন প্রথম প্রিমিয়ারের।
তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে গ্রামবাসীর সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন কাঠবিড়ালী টিম। ছিলেন দুই অভিনয়শিল্পী অর্চিতা স্পর্শিয়া ও আবির। আরও ছিলেন সজীব মাহমুদ ও হিন্দোল রায়।
প্রিমিয়ারের শুরুতে উপস্থিত গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন অভিনয়শিল্পীরা। তোলেন ছবি।
স্পর্শিয়া বলেন, আমরা যেখানে পুরো সিনেমাটা শুটিং করেছি সেখানটায় প্রিমিয়ার করতে পারছি। এটা যে কত আনন্দের সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। গ্রামের প্রতিটি মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। প্রত্যেক কে ধন্যবাদ।
পরে উপস্থিত গ্রামবাসী পরিচালক নিয়ামুল মুক্তাকে সংবর্ধনা দেন। নিয়ামুল মুক্তা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি কৃতজ্ঞ সবার কাছে। আমি এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করে গর্বিত। গ্রামের মানুষের ভালোবাসার চেয়ে আর কিছু নেই।
আয়োজিত প্রিমিয়ারে হাজির হয়েছিলেন ভাঙ্গুরা পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। সবাই নিয়ামুল মুক্তার এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়ে সাফল্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য চিলেকোঠা ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত কাঠবিড়ালী সিনেমাটি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পাবে আগামী ১৭ জানুয়ারি।