‘আবার এসেছি ফিরিয়া’: হাসপাতালের বিছানায় বসেই লাইভে কবীর সুমন
গত সোমবার 'গানওয়ালা'র অসুস্থতার খবর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল বহু বাঙালি গানপ্রেমীর কপালে। ভালো খবর, সুস্থ হয়ে উঠেছেন কবীর সুমন। এখনো হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন, তবে নিজের থেকে উঠে বসছেন, স্বাভাবিকভাবে কথা বলছেন। গলার সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে।
বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সুস্থতার কথা জানিয়েছে ঘোষণা করলেন- 'আবার এসেছি ফিরিয়া।' সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি। পাশাপাশি মমতা সরকারের প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ।
নিজের শারীরিক সমস্যা নিয়ে শুরুতেই কবীর সুমন জানান, 'আমার একটু ঠাণ্ডা লেগেছিল। রবিবার যেটা হলো, আমি ঢোঁক গিলতে পারছিলাম না, খাওয়ার খাওয়া তো দূরের কথা। তবে আমার শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা- এমন কিছু ছিল না।'
যোগ করেন, 'এরপর আমি ডঃ সৌমিত্র ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার কথাতেই আমি বাড়ির বাইরে এসে চিকিৎসা করাতে রাজি হই। এবং এই এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হই। সোমবার ভোর রাত থেকে চিকিৎসা শুরু হয় এবং অসামান্য তৎপরতায় তারা আমাকে সারিয়ে তুলেছেন। তিনদিনে আমি অনেকটা সুস্থ বোধ করছি।'
চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'কখনো ওনাদের মুখে মলিনতা নেই। হাসি ছাড়া কিচ্ছু নেই। সস্নেহে কাজ করে যাচ্ছেন। এই স্নেহের জায়গাটা বড় চমৎকার।'
সোমবারই কবীর সুমনকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়; পৌঁছেছিলেন মদন মিত্রও। এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা ঝরে পড়ল শিল্পীর কণ্ঠে। তিনি জানান, 'পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল অনেক বেশি মানবিক স্পর্শে এগিয়ে আছে। পাশ্চাত্য দেশে একটা পেশার আস্তরণ রয়েছে।'
এর পিছনের কৃতিত্বটা পরিবর্তনের সরকারকেই দিয়েছেন কবীর সুমন। তিনি সাফ জানালেন, 'বামপন্থীরা কী বলছে আমি তা নিয়ে চিন্তিত নই, আমার রাজ্যের মানুষ কী বলছেন সেটাই বড় কথা।'
লাইভ চলাকালীন শোনা যাচ্ছিল তানপুরার সুর। শিল্পী জানান, 'গুণগুণ করে সুর ভাঁজছিলাম। বৈরাগী ভৈরব, ভাটিয়ারি গাইছিলাম। একটু আগে আমার তৈরি রাগ প্রতিমা গেয়েছি… যখন পুরোপুরি পারব, তখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাব। নিজের রাগ গাইব… খেয়াল আমাকে গাইতেই হবে। বাংলা ভাষা থাকবে যদি মমতা থাকেন। মমতা আছেন সেটাই ভরসা। এই যে বাংলা খেয়াল গাইতে পারছি তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান।'
জানা গেছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে কবীর সুমনকে।