মরুভূমিতে শতাধিক নতুন পারমাণবিক অস্ত্রাগার নির্মাণ করছে চীন
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইউমেনের কাছে একটি মরুভূমিতে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য শতাধিক নতুন সাইলো (সংরক্ষণাগার) নির্মাণ শুরু করেছে চীন।
ক্যালিফোর্নিয়ার জেমস মার্টিন সেন্টার ফর ননপ্রলিফারেশন স্টাডিজের গবেষকদের হাতে কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ এসেছে। সেগুলোতেই নির্মাণাধীন সাইলোগুলোর ছবি দেখতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর তথ্যানুসারে, ছবিগুলোতে প্রায় ১১৯টি নির্মাণাধীন ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার দেখা গেছে।
ধারণা করা হয়, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রেরর সংখ্যা (২৫০–৩৫০) আমেরিকা ও রাশিয়ার তুলনায় বেশ কম। সে কারণে নতুন এই সাইলোগুলোর নির্মাণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, চীন পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়াতে যাচ্ছে।
নির্মাণাধীন ১১৯টি সাইলোতে নতুন কতগুলো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রাখা হবে, তা জানা যায়নি। তবে এমনও হতে পারে, স্রেফ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই নতুন এই সাইলোগুলো বানানো হয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নকে ধোঁকা দিতে আমেরিকাও এই কৌশল খাটিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞ জেফ্রি লুইস বলেছেন, মরুভূমিতে নির্মাণাধীন এবং অন্যান্য অঞ্চলের সাইলো মিলিয়ে চীনের মোট সাইলোর সংখ্যা হবে ১৪৫।
লুইসের ধারণা, চীন তাদের পারমাণবিক শক্তি বাড়াচ্ছে। এসবের মধ্যে আমেরিকার হামলা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিও আছে। তিনি আরও বলেন, নতুন সাইলোগুলো সম্ভবত চীনা আইসিবিএম, ওরফে ডিএফ-৪১ রাখার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। ডিএফ-৪১ একাধিক একইসঙ্গে ১০টি পারমাণবিক টর্পেডো বহন করতে পারে। এটি ৯৩০০ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম। অর্থাৎ এ ক্ষেপণাস্ত্রের আমেরিকা পর্যন্ত আঘাত করার ক্ষমতা আছে।
নতুন নির্মাণাধীন সাইলোগুলোর একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব দুই মাইল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়েছে, চীন দ্রুত তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
চীনা নৌবাহিনীর বহরে সম্প্রতি একটি নতুন পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম সাবমেরিন যোগ হয়েছে।
চীনের পারমাণবিক কর্মসূচির এই দ্রুত অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: ডেইলি মেইল