বুধবার থেকে নিয়মিত ভাড়ায় চলবে গণপরিবহন: বিআরটিএ
আগামীকাল বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে সারাদেশে সীমিত পরিমাণে গণপরিবহন চলাচল করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এসময় চলাচলকারী গণপরিবহনে বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া নেওয়া যাবে না, শুধু নিয়মিত ভাড়াই নিতে পারবে।
এছাড়া, কোন পরিবহনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এসব নির্দেশনার আলোকে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে দেওয়া নির্দেশনা সমূহ –
১. আসন সংখ্যার বেশি এবং দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া যাবে না। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/ সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
২. পূর্ব নির্ধারিত নিয়মিত ভাড়ায় গণপরিবহন চলবে (মহামারিকালে বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া নেওয়া যাবে না)। এছাড়া, যেকোনো পরিমাণ বাড়তি ভাড়া কোনো ভাবেই নেওয়া যাবে না।
৩. গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/ কন্ডাক্টর, হেল্পার কাম ক্লিনার এবং টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরতে হবে এবং তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করতে হবে।
৪. প্রতিবার যাত্রা শুরুর আগে ও যাত্রা শেষে যানবাহনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পরিবহনের মালিকদেরকেই যাত্রীদের হ্যান্ডব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে। এসব প্রতিপালনে যারা ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১১ আগস্ট থেকে সকল রুটে গণপরিবহন চলবে।
সেখানে বলা হয়, আসন অনুসারে পূর্ণ যাত্রী নিয়ে পরিবহনগুলো যাত্রী বহন করতে পারবে, তবে মোট যান সংখ্যার মাত্র ৫০ শতাংশ চলাচল করবে।
সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিকদের জোটগুলোও পরে নিয়মিত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে সম্মতি দেয়।