মুস্তাফিজ কতোটা ভালো, প্রকাশের ভাষা পাচ্ছে না রাজস্থান রয়্যালস
ব্যাটসম্যানদের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি। এ কারণেই টি-টোয়েন্টিকে বলা হয় মারকাটারি ফরম্যাট। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে যতটা চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখা যায়, বাকি দুই ফরম্যাটে ততোটা নয়। কম ইকোনমির বোলারদের এই ফরম্যাটে বেশ কদর। সেদিক থেকে থেকে মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সেরা সম্পদ।
বিশেষ করে ঘরের মাঠে তার বিপক্ষে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে যায় প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের। গত আগষ্টেই ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার দেখে বোঝার উপায় ছিল না, এটা টি-টোয়েন্টির বোলিং।
অজিদের জন্য মুস্তাফিজ রীতিমতো যমদূত হয়ে উঠেছিলেন। বাঁহাতি এই পেসার বোলিং প্রান্তে গেলেই পাল্টে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং পরিকল্পনা। চার ছক্কা তো দূরের কথা, অজিদের জন্য ব্যাটে-বলে করাটাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। কীভাবে খেললে তার বিপক্ষে সফল হওয়া সম্ভব, দীর্ঘ পড়াশোনা করেও শেষ পর্যন্ত উপায় বের করতে পারেনি তারা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সেই ছন্দের মুস্তাফিজকে দেখা যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে ২.৫ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের এই পেসার পরের দুই ম্যাচে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দেখিয়েছেন তার দাপট। ৩.৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪টি উইকেটে। মুস্তাফিজের এমন ধারাবাহিক সফলতায় ভাষা হারিয়ে ফেলছে তার আইপিএলের দল রাজস্থান রয়্যালস।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে মুস্তাফিজের আগুনে বোলিংয়ের পর তাকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। মুস্তাফিজের একটি ছবি পোস্ট করে তারা লিখেছে, 'এই ছেলে; সে কতোটা ভালো, তা বর্ণনা করার জন্য আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের শব্দ শেষ হয়ে যাচ্ছে।'
গত মে মাসে স্থগিত হওয়া আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেন মুস্তাফিজ। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ৭ ম্যাচে ৮ উইকেট নেন তিনি। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া আইপিএল আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে। বাকি থাকা ২৯টি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন মুস্তাফিজ। সাকিব আল হাসানও খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।