যুদ্ধ নয়, নাইন-ইলেভেন-এর ঘটনায় দরকার ছিল ফৌজদারি তদন্তের
যেকোনো রাজনীতিবিদকে প্রভাবিত করার একটি কার্যকর উপায় হলো ভয় দেখানোর রাজনীতি। তবে, ৯/১১-এর ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যেভাবে এর প্রয়োগ করেছিলেন তার আগে সম্ভবত এতটা কার্যকরভাবে কেউ এ ধরণের রাজনীতি কাজে লাগাননি। সে ঘটনার পর ওসামা বিন লাদেনের বাহিনী আল-কায়েদা'কে গোলিয়াথ (শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠী) হিসেবে চিত্রিত করে তারা।
পরবর্তীতে ২০১১ সালে যখন বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়, তখন আল-কায়েদায় যোগ দেওয়া সদস্যদের একটি তালিকা খুঁজে পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০০২ সাল থেকে দলটিতে যোগ দেওয়া সদস্যদের সে তালিকায় মাত্র ১৭০ জনের নাম ছিল।
সে তালিকায় ২০ জনকে লাদেন মৃত হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জন ব্যক্তি "শহীদ" হওয়ার উদ্ভট এক মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছিলেন। এছাড়া, কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়া ১১ জনের নামও ছিল সে তালিকায়। লাদেন আরো ১৯ জনের নাম লিখেছিলেন যারা দলটি ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য কোনো গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য গিয়েছিল, আর বাকিরা গিয়েছিল পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। তবে, বেশিরভাগ ব্যক্তিই দলটি ছেড়ে যায় নিজেদের বাড়ি ফেরার লক্ষ্যে।
বিন লাদেন বেশ কয়েক বছর ধরে তার এই সন্ত্রাস প্রজেক্টে কাজ করছিলেন, এবং দলটির প্রতি নিবেদিত ব্যক্তিদের সংখ্যা মাত্র ১২০ জন হওয়ায় তিনি তার পাঁচ ছেলেকেও আল-কায়েদায় নিযুক্ত করেন। কিন্তু, ২০০০ সালে তার ছেলে ওমর বিন লাদেন আল-কায়েদা ত্যাগ করেন, এবং দীর্ঘদিন ধরে নরম্যান্ডিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের প্রাক্তন প্যারিশ কাউন্সিলর জেন ফেলিক্স-ব্রাউনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
তবে, লাদেনের এ তালিকাটি আল-কায়েদার মোট সদস্য সংখ্যা প্রকাশ করুক কিংবা না করুক, এ দলটি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ একটি অপরাধ কার্যক্রম চালায়।
৯/১১ (নাইন ইলেভেন) খ্যাত সে ঘটনায় ৩ হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
'দ্য চ্যালেঞ্জ'
৯/১১-এর বার্ষিকীতে এখন আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জটি রয়েছে তা হচ্ছে, পশ্চিমারা কীভাবে এবং কেন আল-কায়েদাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করলো, এবং বিংশ শতাব্দীতে কোল্ড ওয়ারের সময়কার সোভিয়েত ইউনিয়নের সমতুল্য হিসেবে উন্নীত করলো।
প্রথমত, আমাদের অবশ্যই প্রশ্ন করতে হবে যে: আল-কায়েদা কি সত্যিই ২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যবস্থার অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল? স্পষ্টতই, তারা হুমকিস্বরূপ ছিল না।
যদিও তারা অনেক মানুষকে হত্যার মাধ্যমে ভয়ঙ্কর এক অপরাধ করেছিল; তবু দুঃখজনকভাবে, মানবজাতির জন্য আরও অনেক বাস্তব হুমকি রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, আমি নিজেই পারমাণবিক হলোকাস্টের আশঙ্কা নিয়ে বড় হয়েছি। ১৯৮৩ সালে, 'দ্য ডে আফটার' মুভির মূল সম্প্রচার দেখা ১০০ মিলিয়ন দর্শকের মধ্যে আমিও ছিলাম একজন। সে মুভিতে পৃথিবীর অন্তিমকালের চিত্র তুলে ধরা হয়। মুভিতে দেখানো মিউচুয়াল অ্যাসিউরড ডিস্ট্রাকশন (এমএডি) মতবাদ দেখতে যেয়ে কেঁপে ওঠেনি, এমন কেউ নেই। চলচ্চিত্রের সমাপনী দৃশ্যে দেখা যায়, অন্য কোনো জীবিত ব্যক্তির সন্ধানে বেঁচে থাকা কয়েকজন লোকের মধ্যে একজন আশাহীনভাবে তার শর্ট-ওয়েভ রেডিওর ডায়ালটি ঘুরিয়ে যাচ্ছেন।
তবে, আজকের প্রজন্ম আরেকটি আর্মাগেডন (১৯৯৮ সালের সায়েন্স ফিকশন ঘরানার মুভি)-এর সম্মুখীন। লোভ-লালসা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদের গ্রহকে ধ্বংস করছি আমরা। এ বছর এখন পর্যন্ত অনাহারে মৃত্যুবরণ করা ৬ মিলিয়ন মানুষের পাশাপাশি করোনা মহামারিতে মৃত্যুবরণ করেছে ৪.৫ মিলিয়ন মানুষ।
৯/১১-এর ঘটনাটি ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় কারণ এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত হয়েছিল এবং টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু যখন আমরা নিজেরা ইচ্ছাকৃতভাবে একে অপরের উপর হামলা চালাই, তখন সেসকল ধ্বংসযজ্ঞ ততটা গুরুত্বসহকারে আলোচিত হয়না।
আমরা আমেরিকানরা বাদামী চামড়ার মানুষের মৃত্যুর প্রতি সহানুভূতিশীল না। শুধুমাত্র গত বছরই আফগান যুদ্ধে ১৯,৪৪৪ জন এবং ইয়েমেনে ১৯,০৫৬ জন মানুষ নিহত হন।
আদতে একটি ছোট গোষ্ঠী কী করে এত বড় ক্ষতিসাধন করতে পারে, তা মূল্যায়ন করলে ৯/১১-এর ঘটনা খুব আলাদা কিছু ছিল না।
১৯৯৫ সালে, টিমোথি ম্যাকভি প্রায় একাই ওকলাহোমা সিটিতে বোমা স্থাপন করেছিলেন। সে বোমা হামলায় মোট ১৬৮ জনকে হত্যা করেছিলেন তিনি, যাদের মধ্যে ছিল ১৯ জন শিশু। সে ঘটনায় ৬৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।
তাছাড়া, "চরমপন্থীরা" শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মাবলম্বি নন। ম্যাকভি ছিলেন তথাকথিত "প্যাট্রিয়ট মুভমেন্ট"এর সদস্য। সহস্রাধিক ডানপন্থী সহিংস ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী দিয়ে তৈরি এ সংগঠনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ হুমকি। তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতায় বসতে সাহায্য করার পাশাপাশি সাম্প্রতিক মার্কিন সরকারকে উৎখাতের প্রচেষ্টায় অবদান রেখেছে।
'অস্তিত্বের জন্য একটি হুমকি'
দ্য নেশন ইনস্টিটিউটের ইনভেস্টিগেটিভ ফান্ডের ২০১৭ সালের একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১ টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১১৫ টি ছিল ডানপন্থী গোষ্ঠীদের চালানো হামলা, যেখানে ৩৩ টি হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সে তুলনায় "ইসলামিক উগ্রপন্থী"দের চালানো হামলা ছিল বেশ কম। তাদের মোট ৬৩ টি হামলার ৮ টি-তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এখন এর সাথে তুলনা করুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ঘটা হত্যাকাণ্ডের রিপোর্টের। দেশটিতে বছরে প্রায় ২০ হাজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও, গত নয় বছরে এ ধরণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার।
যদিও ৯/১১-এর ভয়াবহ ঘটনা কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়, তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল রাজনীতিবিদদের মতো এই সিদ্ধান্তে আসা নিছক মূর্খতা যে, "ইসলামী চরমপন্থা" তখনকার সময়ে কিংবা এখন ৩৩০ মিলিয়নের এ জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এছাড়াও, টিম ম্যাকভির পরিবর্তে "ইসলামী চরমপন্থা" কীভাবে এবং কেন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে তাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
অন্তত আমার দৃষ্টিতে এটি সত্য যে, ওসামা বিন লাদেনের লক্ষ্য ছিল হিংসাত্মক। গণহত্যা একটি ইউটোপিয়ান সমাজ গঠনের উপায় নয়।
সেই সাথে আমাদের অবশ্যই এ প্রশ্ন করতে হবে যে- মার্কিন জেনারেলরা একটি উন্নত বিশ্বের পথ সুগম করছেন কি না।
৯/১১-এর প্রতিক্রিয়া
৯/১১-এর ঘটনার পর আমি আমার ছেলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছিলাম। ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে দুই দশক দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বিশ্বের বেশ কিছু সমস্যার জন্য প্রস্তাবিত "সামরিক সমাধান" সম্পর্কে তিনি কী ভাবেন তা জানতে চাই আমি। তিনি বলেন, বিগত ১০০ বছরে একমাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকেই তিনি ব্রিটিশ হস্তক্ষেপের যোগ্য বলে মনে করেন। যারা অত্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করে তাদেরকে সমর্থন করা উচিত আমাদের, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমাদের নিজেদের ছেলে -মেয়েদের তাদের দেশে আক্রমণের জন্য পাঠানো উচিত।
আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক যুদ্ধ অর্থহীনতার একটি লক্ষ্যণীয় মডেল। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ ৪১ হাজার মানুষ এ যুদ্ধে মারা যায়। তারপরেও এ যুদ্ধ সফল হয়নি। বরং তালেবানরা আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসে। এছাড়া, ইরাক থেকে লিবিয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চলা বিশৃঙ্খলাগুলোতেও একই রকমের চিত্র দেখা যায়।
তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দেওয়া স্বাধীনতা আদতে কোথায়?
প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র হাতে নেয়, আমরা গণতন্ত্রের প্রচার হিসেবে আমাদের উদ্দেশ্যগুলো প্রচার করি। কিন্তু, ৯/১১ এর সময় প্রথম দুর্ঘটনাটি ছিল দেশটির আইনের শাসন।
এরপর আমরা আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়েছি। ৯/১১-এর আসল প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল একটি ফৌজদারি তদন্ত, যুদ্ধ নয়। এ ঘটনায় পুরো বিশ্ব যে অতুলনীয় সহানুভূতি প্রকাশ করেছে তা পুঁজি করে আমেরিকা নিশ্চিতভাবেই বিন লাদেন এবং আল-কায়েদাকে গ্রেপ্তার করতে পারতো। আমরা কেন একদল মৌলবাদীকে "শহীদ" হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে দেই, যাদের জন্য শাহাদাত বরণই চূড়ান্ত সম্মানের?
এছাড়াও, ২০০২ সালের ১১ জানুয়ারি গুয়ানতানামো বে প্রতিষ্ঠার সময় আমরা ভান করেছিলাম যে- অপরাধীদেরকে বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখার মাধ্যমেই আমেরিকাকে নিরাপদে রাখা যাবে। সেই ১২১৫ সালে রচিত ম্যাগনা কার্টায় উল্লেখিত আইনী নীতিগুলো প্রয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিনা তা বিবেচনা করি নি আমরা। আমরা বলেছিলাম, যেসকল মুসলিমদের আমরা আটক করেছি তারা জেনেভা কনভেনশনের সুরক্ষার যোগ্য নয়, কারণ তারা আমাদের "যুদ্ধের নিয়ম" মানে নি। আমরা এমনভাবে তাদের বিষয়ে বলছিলাম যেন বিন লাদেনের অপরাধগুলো অ্যাডলফ হিটলারের অপরাধের চেয়েও মারাত্মকভাবে খারাপ ছিল।
এছাড়া, ততদিনে আমরা ইরাক আক্রমণ করেছি। এর আগে যখন আমরা আরব বসন্তের নব্য গণতন্ত্রকে সমর্থন করার সুযোগ পেয়েছিলাম তখন সে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাদের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছিলাম আমরা। ঠিক যেমনটি আমরা করেছিলাম উত্তর -পূর্ব সিরিয়ার কুর্দিদের সাথে। তাদের উপর থাকা বিমান সমর্থন প্রত্যাহার করেছিলাম আমরা এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে তাদের আক্রমণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তাছাড়া, আমরা মিশরেও সক্রিয়ভাবে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য কাজ করেছি।
ওয়াটারবোর্ডিং থেকে ড্রোন
পরবর্তীতে যখন সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক প্রেসিডেন্ট ওবামাকে গুয়ানতানামোর নির্যাতনের আদেশ ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন, তখন তিনি বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।
স্বাধীনতা প্রচারের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে মানুষকে সে প্রকল্প মানার জন্য অত্যাচার করা ভণ্ডামি ব্যতীত কিছু নয়। যাদেরকে আমাদের সমর্থন করা উচিত ছিল, তাদেরকে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এ সমস্ত নীতি। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের মুসলমানরাও।
শেষ পর্যন্ত, আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য- 'মানুষকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখার জন্য অনুপ্রাণিত করা' থেকে ব্যর্থ হয়েছি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি বলেছিলেন যে, আফগানিস্তানে মোট ২ ট্রিলিয়ন ডলার বা প্রতি আফগান নাগরিকের জন্য ৫০ হাজার ডলারের বেশি খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী এই দরিদ্র দেশের গড় বার্ষিক আয় ৫০০ ডলার। অর্থাৎ, আমার মার্কিন কর প্রতিটি আফগান পুরুষ, নারী এবং শিশুর ১০০ বছরের সম্পদের সমান।
আমরা আমাদের টাকা দিয়ে আসলে কী করেছি?
আমরা এর অধিকাংশই অস্ত্র নির্মাতাদের হাতে এবং কাবুল শাসনের ক্ষমতায় থাকা ভেনাল সদস্যদের কাছে বিলিয়ে দিয়েছি। এত বিশাল অঙ্কের অর্থের মাধ্যমে আমরা আফগান জনগণকে কী দিয়েছি?
বলা হয়ে থাকে যে- আমরা ইতিহাস থেকে যে শিক্ষা পাই তা হল আমরা ইতিহাস থেকে কখনো কিছু শিখি না। আসুন, গত দুই দশকে আবারো আমরা ফিরে তাকাই এবং একবারের জন্য হলেও দরকারি কিছু শিখি।
লেখক: ক্লাইভ স্ট্যাফোর্ড স্মিথ (হিউম্যান রাইটস-এর আইনজীবী)
সূত্র: আল-জাজিরা