প্রয়োজনে সঞ্চয়পত্রে সুদহার আবার বাড়ানো হবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দরকার হলে সঞ্চয়পত্রে সুদহার, আবারো বাড়ানো হতে পারে।
আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সাথে এক বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "সুদের হার বাড়ানো বা কমানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি কখনো বাড়বে, কখনোবা কমানো হয়। প্রয়োজন দেখা দিলে, আবারো বাড়ানো হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এ কারণে সবাই এখানে চলে এসেছে। অর্থনীতির অন্য চালিকা শক্তিগুলো এতে সমস্যায় পড়েছে। মুনাফার হার কমানো হয়েছে, তবে প্রান্তিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে হাত দেওয়া হয়নি।'
আগের সুদহারের কারণে প্রায় সকলেই সঞ্চয়পত্র কিনতেন বলেও উল্লেখ করেন মুস্তফা কামাল।
এ সময় নতুন করে যে হার করা হয়েছে, তাতে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'নিরুৎসাহিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে রাখা আছে।'
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রায় ছয় বছর পর প্রথম সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মূলত সরকারি দেনার বোঝা লাঘব করে শিল্প ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতেই নেওয়া হয় এ সিদ্ধান্ত।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পরিবর্তিত নতুন সুদহারের আওতায় পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হবে, যা আগের চেয়ে কমেছে ১ শতাংশ পয়েন্ট। আর এতে মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারী ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন, যা আগের চেয়ে ২ শতাংশ পয়েন্ট কম।
এর আগে ২০১৫ সালে সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ সুদহার ১৩ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে ১১.৭৬ শতাংশ করা হয়।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (সঞ্চয়) যুগ্মসচিব সুরাইয়া পারভীন শেলী বলেন, সঞ্চয়পত্রের টাকা ঋণ হিসাবে নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করে সরকার। পরবর্তীতে তার সুদ দিতে হয়। অন্যান্য ঋণ থেকে এর সুদহার অনেক বেশি হওয়ায়, তা কমানোর প্রস্তাব বহু আগে থেকেই এসেছে। সরকারের সুদের দায়বদ্ধতা কমাতে নতুন সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে।