প্রস্তুতি ম্যাচের হারে চিন্তিত নন প্রধান নির্বাচক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নেওয়ায় ব্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, অনুশীলন ক্যাম্প ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে বেশ আগেই ওমান গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ইতোমধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলা হয়ে গেছে। ওমান 'এ' দলের বিপক্ষে জিতলেও মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের কয়েকদিন আগে ব্যাটে-বলে অনুজ্জ্বল বাংলাশেকে দেখে অনেকেই শঙ্কিত। প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও চিন্তার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স বা হার নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাচ্ছেন না। প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে, তার কাছে সেটাই আসল।
বুধবার একটি অনলাইন পোর্টালের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচের হার প্রসঙ্গে মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'প্রস্তুতি ম্যাচে উত্থান-পতন থাকবেই। কারণ এই ম্যাচগুলোতে অনেক কিছু পরখ করে দেখা হয়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবকিছু মিলিয়ে সবাইকে মূল্যায়ন করা হয়। সবাই এখানে প্রস্তুত হচ্ছে। সেই হিসেবে সবাই ভালো একটা সুযোগ পেয়েছে। টানা অনেকগুলো ম্যাচ খেলছে। সহসা কিন্তু এত ম্যাচ পাওয়া যায় না। তো নিজেদেরকে প্রস্তুত করার মতো দারুণ একটা সুযোগ পাওয়া গেছে।'
আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা মূল লড়াইয়ে কাজে দেবে বলে বিশ্বাস প্রধান নির্বাচকের। তিনি বলেন, 'ওমানে আমরা ১০ দিন আগেই গিয়েছি এবং আমাদের প্রস্তুতিও ভালো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। আরেকটা ম্যাচ আছে। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বিশ্বকাপের আগেই দল ভালো একটা শেপের মধ্যে আসবে।'
'ছেলেরা ভিন্ন উইকেটে খেলছে। ওমানে এক উইকেটে খেলেছে, আবুধাবিতে আরেক উইকেটে খেলছে। যেহেতু বিশ্বকাপের খেলাগুলো এই সমস্ত ভেন্যুর মধ্যে আছে। এরপর ১৭ তারিখ থেকে আমাদের বিশ্বকাপ মিশনটা ভালো করে শুরু করতে পারব ' যোগ করেন মিনহাজুল আবেদীন।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সফরে নেই তামিম ইকবাল। সর্বশেষ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিলেন না অভিজ্ঞ এই ওপেনার। ইনিংস উদ্বোধনের দায়িত্ব ছিল নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, লিটন দাসদের ওপর। এদের মধ্যে কেউই ব্যাট হাতে রানের দেখা পাননি। এটাকেও চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছেন না মিনহাজুল আবদেীন। মিরপুরের স্লো উইকেটে খেলে যাওয়ার কারণে ওখানে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচক বলেন, 'ওরা দেশে খেলে গেছে, এখানের উইকেট একটু স্লো ছিল। সেখানে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া তাই কষ্টকর হচ্ছে। আরব আমিরাত এবং ওমানের উইকেটগুলো যেমন দেখছি, আমাদের ওপেনাররা সময় নিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারবে এবং টিম হিসেবে খেলতে পারবে। আর শুধু ওপেনারদের নিয়ে ভাবলেই তো হবে না, শর্টার ভার্সনে সবাইকেই ভালো খেলতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে আপনার সেরাটাই দিতে হবে। কারণ এটা এমন একটা অল্প সময়ের খেলা, ঘার ঘুরাতেই সময় চলে যায়। সুতরাং, এখানে কোন ল্যাকিংস থাকা চলবে না এবং প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মুহূর্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ।'
১৪ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ও বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৫ অক্টোবর ওমান ফিরবে তারা। ১৬ অক্টোবর অনুশীলনের পর ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হবেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা।