কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে চাঁদপুরে সংঘর্ষে নিহত ৪
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআনের অবমাননাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনার জের ধরে চাঁদপুরে সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুরে দুইটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "সহিংসতায় চাঁদপুরে ৪ জন মারা যায়। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও চাঁদপুরে ৭২ জনকে আটক করা হয়েছে।"
বুধবার রাতে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপে সংঘর্ষ হয় বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ।
ঘটনার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসন সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পুলিশের চাঁদপুর হাজীগঞ্জ সার্কেলের অ্যাডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট সোহেল মাহমুদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'কুমিল্লার পূজা মণ্ডপের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার বিকেলে হাজীগঞ্জে সংঘর্ষ ঘটে। রাতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে। এই মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।'
এদিকে সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট (পিআইডি) বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রেস নোট জারি করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, 'কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার সংবাদটি সরকারের নজরে এসেছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।'
এদিকে, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এক জরুরি বিবৃতিতে বলেছেন, 'কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। প্রত্যেকেরই ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখা উচিত।'
'দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে,' যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।