প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে গাঁজা উৎপাদন ও সেবনের বৈধতা দিলো লুক্সেমবার্গ
ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে গাঁজা উৎপাদন ও ব্যবহারের আইনত বৈধতা দিয়েছে লুক্সেমবার্গ।
ভূ-বেষ্টিত লুক্সেমবার্গ বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও জার্মানির সীমান্তের সঙ্গে যুক্ত। দেশটির প্রতিটি বাড়িতে এখন গাঁজার সর্বোচ্চ চারটি গাছ লাগানো যাবে।
তবে, জনসম্মুখে গাঁজা সেবন এবং গাঁজা পরিবহন করা এখনও নিষিদ্ধ। এছাড়া, তিন গ্রামের কম গাঁজা সেবন ও বহন করা এখন থেকে আইনিভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। তবে, বিষয়টি নীতিবহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
তিন গ্রামের কম গাঁজা পাওয়া গেলে এর আগে ২৫১ ইউরো জরিমানা দিতে হলেও এখন মাত্র ২৫ ইউরো জরিমানা ধার্য করা হবে।
গাঁজা নিষিদ্ধ ঘোষণার কার্যহীনতার উল্লেখ করে চোরাচালান বন্ধ করতে গত ২২ অক্টোবর দেশটির সরকার ঐতিহাসিক এই ঘোষণা প্রদান করে।
আইনমন্ত্রী স্যাম ট্যামসন বলেন, "মাদক ইস্যু নিয়ে আমাদের কিছু করতে হতো। গাঁজা সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত মাদক এবং বেআইনি বাজারের বড় অংশজুড়ে এর বেচাকেনা চলে।"
"আমরা মানুষকে ঘরেই গাঁজা চাষের অনুমতি দিয়ে শুরু করতে চাই," বলেন তিনি।
"বিষয়টি হলো, গাঁজা সেবনের জন্য কোনো সেবককে যেন বেআইনি পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। গাঁজা উৎপাদন, পরিবহন ও বিক্রির সঙ্গে বহু করুণ কাহিনী জড়িয়ে রয়েছে। আমরা এই অবৈধ চক্রকে সমর্থন করি না।"
"অবৈধ কালো বাজার থেকে আরও দূরে যেতে আমরা যতদূর করতে পারি করব," বলেন ট্যামসন।
সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রীয়ভাবে গাঁজার উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেখান থেকে আসা লাভের অর্থ দিয়ে মাদকাসক্তি প্রতিরোধের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ করা হবে।
এদিকে, অনলাইনে মানুষ গাঁজার বীজ ক্রয়ের অনুমতি পাবেন। এছাড়া, দোকান থেকে কিংবা আমদানির মাধ্যমেও গাঁজার বীজ আনানো যাবে। তবে, গাঁজা পরিবহন নিষিদ্ধই থাকবে।
- সূত্র: ল্যাডবাইবেল