রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চুল কাটার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেয়ে গত শুক্রবার সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে আইনগত বিষয়গুলো পর্যালোচনার জন্য ১০ কার্যদিবস সময় নিয়ে সভা মূলতবি করা হয়েছে। এছাড়া ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি তদন্ত দল ঘটনার তদন্ত করতে সরজমিন ক্যাম্পাসে আসবে। তারপর এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটির সভাপতি এবং রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল সাংবাদিকদের বলেন, "ঘটনাস্থলে একটি সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। ফুটেজে কাঁচি হাতে শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ঘটনার তদন্ত করার সময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ৩৪জন শিক্ষার্থী, কয়েকজন শিক্ষক, স্টাফ ও অন্য বিভাগের শিক্ষার্থী মিলে ৬০জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সবাই শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে অভিযুক্ত করেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে দু'দফা সময় নিলেও সাক্ষ্য দিতে আসেননি শিক্ষিকা ফারহানা। তার সাক্ষ্য ছাড়াই আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ১৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে। 'অপমান সহ্য করতে না পেরে' এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয় ৫ সদস্যের কমিটি। এরপর সিন্ডিকেট সভা শেষে শিক্ষিক ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।