জলবায়ু তহবিলে ‘নাটকীয়’ গতি চায় জাতিসংঘ
উন্নত দেশগুলি বর্তমানে যেভাবে তহবিল ছাড় করছে, জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক পরিণতি মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা তৈরিতে স্বল্প আয়ের দেশগুলিকে তার চেয়েও ৫-১০ গুণ বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। দিনে দিনে চাহিদার সাথে তহবিল ঘাটতির এই পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। প্রকৃত সহায়তার জন্য সেখানে নাটকীয় হারে আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) প্রকাশিত 'গ্যাদারিং স্ট্রোম' নামক প্রতিবেদনটি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন চলাকালেই প্রকাশিত হলো। বিরূপ জলবায়ুর সাংঘাতিক পরিণতি; সেগুলোর সঙ্গে মানিয়ে চলার প্রচেষ্টাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন প্রতিবেদনটির গবেষকরা।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়ার দিকেও মনোনিবেশের পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। চলতি শতকেই জোর গতি পাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ। এই মুহূর্তে কার্বন নিঃসরণ কমালেও এই পরিণতি এড়ানোর উপায় নেই।
ফলে নিঃসরণ কমানোর সাথে সাথে জলবায়ু অভিযোজন বা সহনশীলতা তৈরির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনের মুখবন্ধে ইউএনইপি'র নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গার অ্যান্ডারসন বলেন, "গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে আমরা জোর প্রচেষ্টার আশা করেছি। কিন্তু, এসব উদ্যোগ গতিশীল হচ্ছে না। তাই আমাদের অভিযোজন তৈরির দিকেই নাটকীয় মাত্রায় জোর দিতে হবে।"
অভিযোজনমূলক প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ভয়াবহ বন্যার হাত থেকে রক্ষায় নদীতীরে বাঁধ নির্মাণ, প্রবাল প্রাচীর রক্ষা, শ্বাসমূলীয় বাদাবন সৃষ্টির মতো উদ্যোগগুলি। যা ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ড স্রোতে বাধা দিয়ে এর ক্ষয়ক্ষতি কমানোর সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের মতো উপকুলীয় বদ্বীপ অঞ্চলে এ ধরনের প্রকল্পে অর্থায়ন জলবায়ু অভিযোজন তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।