৪২ ফাউলের ম্যাচ ড্র, চিলির হারে বিশ্বকাপ নিশ্চিত আর্জেন্টিনার
এই ম্যাচকে বলা হয় সুপারক্ল্যাসিকো; ফুটবলের সবচেয়ে জমজমাট লড়াই এটা। কিন্তু এবারের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচটি হলো 'বিদঘুটে'। থাকলো না পরিষ্কার আক্রমণ, হয়ে গেল একের পর এক ফাউল। আক্রমণ সাজালেও ফিনিশিংয়ে মুন্সিয়ানা দেখাতে পারল না কোনো দলই। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের কেউই পেল না জালের দেখা।
আর্জেন্টিনার সান হুয়ানে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। এই ম্যাচটি জিতলেই কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত ছিল লিওনেল মেসি দলের। সেটা না হওয়াতে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
যদিও কিছুক্ষণ পরই হতাশা কেটে যায় আলবিসেলেস্তেদের। ঘণ্টা খানেক পর শেষ হওয়া ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে চিলি হেরে যাওয়ায় কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই লাতিন অঞ্চলের দ্বিতীয় দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপে টিকেট কাটেন মেসিরা। প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপে খেলা আগেই নিশ্চিত করে রেখেছে ব্রাজিল।
১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে আট জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আর্জেন্টিনা। বাকি আট দলের সবাই খেলেছে ১৪টি করে ম্যাচ। তিন নম্বরে থাকা ইকুয়েডরের পয়েন্ট ২৩। সমান ১৭ করে পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে চার ও পাঁচ নম্বরে কলম্বিয়া ও পেরু।
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচের যে সৌন্দর্য, সেটা এই ম্যাচে দেখাই যায়নি। ফাউলের বাঁশি বাজাতে বাজাতে ক্লান্ত হতে হয়েছে রেফারিকে। এই ম্যাচে দুই দলই অবিরত ফাউল করে গেছে। আর্জেন্টিনা ২১ ও ব্রাজিল ২১টি ফাউল করে। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার চারজন দেখেন হলুদ কার্ড, ব্রাজিলের তিন জন।
বল দখল বা আক্রমণ সাজানোয় কাছাকাছি লড়াই হয়েছে। ম্যাচে ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে আর্জেন্টিনা। গোলমুখে তারা শট নিয়েছে ৯টি, এর মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে। ৪৪ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা ব্রাজিলের নেওয়া ৯টি শটের ২টি ছিল লক্ষ্যে।