চুয়াডাঙ্গা হয়ে ভারতে গেল বাংলাদেশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ সাইকেল র্যালি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত যৌথ সাইকেল র্যালিটি আজ সকাল ১১টায় ভারতে প্রবেশ করেছে।
পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব জোরদার করার উদ্দেশ্যে দুই দেশের সেনাবাহিনী গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) র্যালিটি শুরু করে।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় যৌথ সাইকেল র্যালিটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় দলটিকে অভ্যর্থনা জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এর আগে র্যালিটি যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও মুজিবনগর পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছায়। র্যালিতে যোগ দেওয়া সেনা সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে রাত কাটান।
এরপর শুক্রবার সকাল ৯টায় যৌথ সাইকেল র্যালিটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে পৌঁছে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১১টার দিকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল মো. মুহতাসিম হায়দার চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। যৌথ সাইকেল র্যালির সদস্যরা ভারতে প্রবেশ করলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সতেজ ত্রিবেদী তাদের স্বাগত জানান।
র্যালিটি ভারতে প্রবেশ করে কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, রানাঘাট হয়ে কলকাতায় ফ্লাগইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে। র্যালিতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের ২০ জন সদস্য আগামী ২৬ নভেম্বর বেনাপোল হয়ে দেশে ফিরবেন।
যশোর সেনানিবাসের স্টাফ অফিসার মেজর মো. জাকারিয়া জানিয়েছেন, গত সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৯ সদস্যের একটি চৌকস দল সাইকেল র্যালি নিয়ে যশোর সেনানিবাসে পৌঁছায়। সেখানে ফ্লাগ অভ সিরিমনি শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের একটি দল র্যালিতে যোগ দেয়।
র্যালিটিতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্বে দিচ্ছেন মেজর মাহমুদ আফজাল এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন কর্নেল মুহিত সিং।
মেজর মো. জাকারিয়া বলেন, 'এই সাইক্লিং অভিযানের মাধ্যমে দু-দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।'