অনেক বিতর্কের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বড় জয়
বেন স্টোকস টানা চারটি নো বল করে গেলেন, একটিও ধরতে পারলেন না আম্পায়ার। আরও অবাক করা খবর, প্রথম ৫ ওভারে ১৪টি নো বল করেছেন ইংলিশ এই অলরাউন্ডার, এর মধ্যে কেবল একটি ধরতে পেরেছেন আম্পায়ার। প্রযুক্তির গোলাযোগও দেখা গেছে ভরপুর। শেষমেষ বিদ্যুৎ বিভ্রাট! চতুর্থ দিন বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে প্রায় ২৫ মিনিট টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখা যায়নি।
এতকিছুর মাঝে একটা ব্যাপার ছিল দারুণ ধারাবাহিক, সেটা ব্যাটে-বলে অস্ট্রেলিয়ার দাপট। তাই অনেক বিতর্কের এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে কোনো বেগই পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। ব্রিসবেন টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে অ্যাশেজ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়কত্বের অভিষেকটা ঝলমলে হলো প্যাট কামিন্সের।
মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্সের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। জবাবে ডেভিড ওয়ার্নারের ৯৭, মার্নাস ল্যাবুশেনের ৭৪ ও ম্যাচসেরা ট্রাভিস হেডের ১৫২ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৪২৫ রান তোলে অজিরা।
প্রথম ইনিংসেই ২৭৮ রানের বড় লিড পায় অস্ট্রেলিয়া, ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক জো রুটের ৮৯ ও দাভিদ মালানের ৮২ রানে ইনিংস হার এড়ালেও অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ২০ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। যা এক উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায় ঘরের মাঠের দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৪৭
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৪২৫
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ১০৩ ওভারে ২৯৭ (মালান ৮২, রুট ৮৯, স্টোকস ১৪, পোপ ৪, বাটলার ২৩, ওকস ১৬, রবিনসন ৮, উড ৬; স্টার্ক ১/৭৭, হ্যাজেলউড ১/৩২, কামিন্স ২/৫১, লায়ন ৪/৯১, গ্রিন ২/২৩)।
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ২০) ৫.১ ওভারে ২০/১ (ক্যারি ৯, হ্যারিস ৯*, লাবুশেন ০*; রবিনসন ১/১৩, ওকস ০/৩)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ: পাঁচ টেস্টের সিরিজের অস্ট্রেলিয়া ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে