দেশকে জেতাতে চান এবাদত
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছে কিউইরা, তাদের লিড ১৭ রানের। শেষ দিনে স্বাগতিকদের পাঁচ উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে লক্ষ্য নাগালে রাখার পরিকল্পনা। দারুণ বোলিংয়ে কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস এলোমেলো করে দেওয়া এবাদত হোসেন জানালেন, দেশকে জেতাতে চান তিনি।
প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রান তুলে ১৩০ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে শেষ বিকেলে এবাদতের বোলিং তোপে দিক হারায় মাঠের দলটি। অসাধারণ বোলিংয়ে ডানহাতি এই পেসার তুলে নেন কিউইদের ৪টি উইকেট। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা। শেষ দিনে বোলিং ফিগারটা আরও সমৃদ্ধ করতে চান, পাশাপাশি দেশকে এনে দিতে চান জয়।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে এবাদত বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের সতীর্থরা এবং সাপোর্ট স্টাফটা সবাই খুব সাহায্য করেছেন। নিউজিল্যান্ডে আমাদের আগের ম্যাচগুলোতে এতো ভালো করতে পারিনি। এই দলটা চাচ্ছে নতুন কিছু দিতে, নতুনভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। কাউকে না কাউকে তো ভালো কিছু দিতেই হবে। এই দলের চেষ্টাই এটা যে, বিদেশের মাটিতে জেতা শুরু করব।'
নিজের বোলিং অভিজ্ঞতা নিয়ে এবাদত বলেন, 'দেশে ও দেশের বাইরে দুই কন্ডিশনেই আমি খেলেছি। দেশে আমাদের উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক থাকে, ফ্ল্যাট থাকে। সেখানেও আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে উইকেট বের করা যায়। বিদেশের মাটিতে প্রথম দিন, প্রথম দুই ঘন্টা সাহায্য থাকে। তারপর কিছুটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়।'
কোন কন্ডিশনে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটা এখনও শিখছেন বলে জানালেন জাতীয় দলের হয়ে ১০টি টেস্ট খেলা এবাদত। শেখার মধ্যে থাকলেও তার লক্ষ্য দেশকে জয় উপহার দেওয়া, 'আমরা এখনও শিখছি কীভাবে দুই জায়গায় বল করা যায়। বল পুরোনো হলে কীভাবে রিভার্স করা যায়। আমরা এখনও শিখছি। আমরা চেষ্টা করব আগামীকাল যেন দেশকে জিতিয়ে আসতে পারি।'
এই প্রথম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পেরেছে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৫টি (চলতি ম্যাচ বাদে) টেস্ট খেলেছে, এর মধ্যে হার ১২টিতে। এর মধ্যে ইনিংস হারই ৭টিতে। বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে, তিনটিই বাংলাদেশের মাটিতে। এই ম্যাচে জয় না পেলেও ড্র হতে পারে বাংলাদেশের বড় অর্জন।