ফাইজারের কোভিড প্রতিরোধী পিল বাজারে আনলো ইনসেপ্টা
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ইঙ্কের আবিষ্কৃত মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল বড়ি প্যাক্সলোভিড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস।
ওষুধটি জুপিটাভির ব্র্যান্ড নামে বাজারজাতকরণ করা হবে বলে আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) করোনাভাইরাসের মৃদু থেকে মাঝারি সংক্রমণে পিলটির জরুরী ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসারে ওষুধটি খেতে পারবে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) পিলটির জরুরী অনুমোদন দেয়। এটাই ছিল কোভিড-১৯ প্রতিরোধী কোনো সেবনযোগ্য ওষুধ অনুমোদনের প্রথম দৃষ্টান্ত।
মানব ট্রায়ালে অ্যান্টিভাইরাল পিলটি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু রোধে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। গবেষণাগারে করা সাম্প্রতিক পরীক্ষার তথ্য বলছে, ওষুধটি অতি-সংক্রামক ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর।
নিরমাটরেলভির ও রিটোনাভির ট্যাবলেটের সাথে একসাথে প্যাকেটজাত করে ওষুধটি বাজারে আনা হয়েছে।
সার্স কোভ-২ ভাইরাসের এনজাইমকে আক্রমণ করে নিরমাটরেলভির ভাইরাসের বংশবিস্তার বন্ধ করে। আর রিটোনাভির নিরমাটরেলভিরের প্রভাবকে দীর্ঘমেয়াদি করে।
রোগীর দেহে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর এবং শনাক্ত হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে জুপিটাভির সেবন করা যাবে।
এর আগে গেল ৩০ ডিসেম্বর দেশের দুটি শীর্ষ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বেক্সিমকো ও এসকেএফ পৃথকভাবে প্যাক্সলোভিড বাজারজাতকরণ উদ্বোধন করে। বেক্সিমকো এটি বেক্সোভিড নামে বাজারে এনেছে, আর এসকেএফ এনেছে প্যাক্সোভির নামে।