সেন্টমার্টিনে নতুন সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা: বাংলাদেশকে ডিক্যাপ্রিওর অভিনন্দন
সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিখ্যাত আমেরিকান অভিনেতা এবং পরিবেশবাদী লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
নিজের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
ডিক্যাপ্রিও লিখেছেন, "সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকার জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন। জীববৈচিত্র্যের একটি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীরের আবাসস্থলে সুরক্ষা প্রদান করবে এটি।"
কয়েক বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচারণা চালাচ্ছেন ডিক্যাপ্রিও। নিজের বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জলবায়ু-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে লিখেন তিনি। কিন্তু, এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিয়ে টুইট করেছেন তিনি।
সম্প্রতি সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে 'সেন্ট মার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া' হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পূর্বে ঘোষিত ৫৯০ হেক্টরের পরিবেশগতভাবে সংকটপূর্ণ এলাকা ছাড়াও, নতুন ৭০ মিটার-গভীর সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকার প্রবাল প্রাচীর ও জীববৈচিত্র্যের ধ্বংস প্রতিরোধ করতে জলযানের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, অতিরিক্ত মাছ ধরা, বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ ফেলা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
নতুন ঘোষিত সংরক্ষিত এলাকাটি বিপন্ন গোলাপী ডলফিন, হাঙ্গর, রে মাছ, সামুদ্রিক কচ্ছপ, সামুদ্রিক পাখি, প্রবাল, সামুদ্রিক ঘাস এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণে সহায়তা করবে।
সামুদ্রিক সম্পদের নিয়ন্ত্রিত উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রা উন্নয়নে সাহায্য করবে এই এলাকা। জাতীয় নীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে এলাকাটি।