ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন রাসেল-শামীমার নিকটাত্মীয়রা
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের ভাই-বোন, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালক প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন, পরিচালনা এবং সমস্যা সমাধানের কাজে অংশগ্রহণ করতে চান। সেই সুযোগ দিয়ে হাইকোর্ট বুধবার এক আদেশে প্রতিষ্ঠানটিতে শামীমা নাসরিন ও রাসেলের কিছু শেয়ার তাদের নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করতে ইভ্যালির নতুন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে উপস্থিত হয়ে ইভ্যালি সংক্রান্ত এক শুনানিতে এই নিকটাত্মীয়রা মৌখিকভাবে শেয়ার হস্তান্তরের নির্দেশনা চাইলে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
যেহেতু রাসেল ও তার স্ত্রী কারাগারে তাই তারা জেলগেটে বা কারাগারেই বসেই শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আদালত তার নির্দেশনায় বলেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির নতুন পরিচালনা বোর্ডের পক্ষে আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান; মামলার আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
ইভ্যালির আইনজীবী ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "কী পরিমান শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবেন দুইজন, তা এখনও আদালতে সুনির্দিষ্ট নয়। আদালত তার লিখিত আদেশে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট আকারে তুলে ধরবেন।"
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
গত ১৮ অক্টোবর আদালত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড গঠন করেন।