নির্বাচন কমিশনে সরকারি সুবিধাভোগী কাউকে না রাখার দাবি বিশিষ্টজনদের
বর্তমান বা অতীতের কোনো সরকারের রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা।
আজ শনিবার সার্চ কমিটির বৈঠকে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন তারা।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বৈঠক শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে অংশ নেন ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
অধ্যাপক ড আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, "চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে, সুপারসিট করার মাধ্যমে, চাকরির সময় বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকার অনেক সময় অনেকের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে এবং যারা রিটায়ার্ডের পর কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়েছে, এ ধরনের লোকেরা যেন নির্বাচন কমিশনে না আসেন,"
প্রত্যাশা কী সে প্রশ্ন করা হলে আসিফ নজরুল বলেন, "আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শতভাগ আস্থা রাখতে পারি না। এছাড়া অনুসন্ধান কমিটি গঠন নিয়েও সমাজে ভিন্নমত ছিল".
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, "বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সমন্বয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি আমরা,"
"বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে দশজনের পরিবর্তে বিশজনের তালিকা তৈরির প্রস্তাবও রেখেছি আমরা," বলেন মাকসুদ কামাল।
নির্বাচিতরা দায়িত্বের প্রতি সৎ আর নিবেদিত থাকবেন তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পূর্ববর্তী রেকর্ড মূল্যায়নের পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থেকে দশজনকে নির্বাচিত করতে হবে।
"দেশের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব থাকবে এসব মানুষের হাতে, তাই তাদের চারিত্রিকভাবে সৎ হতে হবে, কোনো ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম থাকা যাবে না,"
আইনজীবী এম কে রহমান বলেন, "রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য নির্বাচিত দশজনের নাম অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করতে বলা হয়েছে"।