লিটনের পর সাকিব-রাব্বির ব্যাটিং শো, বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
সাবধানী শুরুর পর দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। এ দুজনের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বি। এই দুই ব্যাটসম্যান ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে দ্রুতই বাড়িয়ে নেন রান। শেষ দিকে অবদান রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজরাও। সব মিলিয়ে সেঞ্চুরিয়নে স্বপ্নময় এক দিন কাটলো বাংলাদেশের।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ৩০০ ছাড়ানো ইনিংস। দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৩০ রানের, ২০১৯ বিশ্বকাপে দ্য ওভালে।
শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৯৫ রান যোগ করেন তামিম ও লিটন। সাবধানী শুরুর পর ধীরে ধীরে রান তোলার গতি বাড়িয়ে নেন এ দুজন। দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছোঁয়ার একটু আগে বিদায় নেন তামিম। ৬৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
কিছুক্ষণ পর আউট হন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া লিটনও। ৬৭ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে উঠতে গিয়েও তারা পারেননি। মুশফিকুর রহিম স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দেন ইয়াসির আলী রাব্বি।
এই জুটিতে ছন্দ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই মারকুটে মেজাজে থাকা সাকিব প্রোটিয়া বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিতে শুরু করেন। উইকেটে মানিয়ে নিয়ে রান তোলায় মন দেন রাব্বিও। এই জুটিতে ১১৫ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। অসাধারণ সব শট খেলতে থাকা সাকিব ৬৪ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৭ রান করে আউট হন।
এরপর রাব্বিও বেশি সময় থাকতে পারেননি উইকেটে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫০ রান করেন আউট হন। এরপর মাহমুদউল্লাহ ১৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৭, আফিফ ১৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৭ রান করেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ ১৩ বলে ২টি ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন, তাসকিন আহমেদ করেন ৫ বলে ৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ ও মার্কো জ্যানসেন ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা ও আন্দিলে ফেলুকুয়াওয়ে।