নির্দিষ্ট কোডের আওতায় আসছে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট
অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের (ওবিইউ) কার্যক্রম দ্রুত বাড়তে থাকায়, তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করে নতুন ইউনিট নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার ইস্যু করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট চালু করার ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ কোডের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে।
তবে এ ইউনিটের কার্যক্রম বন্ধ হলে ৭ দিনের মধ্যে কোড বাতিলের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগকে অবহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্বের বরাদ্দকৃত কোডসমূহ (এফইপিডি কর্তৃক বরাদ্দকৃত) বলবৎ থাকবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট এর কার্যক্রমও বাড়ছে। এ অবস্থায় ইউনিটের (ওবিইউ) তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে প্রতিটি ওবিইউ-এর জন্য নির্দিষ্ট কোড বরাদ্দের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অফশোর ব্যাংকিং হল, তফসিলি ব্যাংকগুলোর আওতাধীন পৃথক এক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এবং বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। এতে স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব হয়। সাধারণ ব্যাংকগুলোর চেয়ে এ ঋণের সুদহার কম হওয়ায় এ ইউনিট থেকে ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৮৫ সালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য কেবল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। ২০১৯ সালে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুরুতে বিদেশি ব্যাংকগুলো এ সেবার আওতায় থাকলেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যাংক যুক্ত হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। গত পাঁচ বছরে এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সে কারণে বিদেশি ব্যাংকের পাশাপাশি দেশীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোও আলাদা শাখা বা ইউনিট খুলেছে।