‘মেসি, মেসি’ স্লোগানে মুখরিত স্টেডিয়াম, আপ্লুত আর্জন্টাইন জাদুকর
বিশ্রামে থাকার পর আর্জেন্টিনার হয়ে এটাই প্রথম ম্যাচ লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপের আগে হয়তো ঘরের মাঠে এটাই শেষ ম্যাচ তার। এমনকি ঘরের মাঠেই এটা হতে পারে আর্জেন্টাইন জাদুকরের শেষ ম্যাচ। এ কারণেই কিনা ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচে প্রিয় খেলোয়াড়কে এক ধরনের 'ফেয়ারওয়েল' দিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
এই ম্যাচটি যেন ছিল শুধু মেসিরই। তার নাম ধরে চলে গান, স্লোগান। ৫০ হাজার দর্শকে ঠাসা গ্যালারি থেকে ভেসে আসতে থাকে 'মেসি, মেসি' ধ্বনি। আর্জেন্টিনার জয় ছাপিয়ে একটা পর্যায়ে সবার দৃষ্টি মেসিতেই। ঘরের মাঠের দর্শকদের এমন আবেগ-ভালোবাসায় আপ্লুত মেসি। ম্যাচ শেষে দর্শকদের ভালোবাসার জবাব দেন সাতবারের ব্যালড ডি'অর জয়ী।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) এখনও চেনা চেহারায় ফেরার অপেক্ষায় থাকা মেসি এই ম্যাচে ছিলেন দুর্বার। বোকা জুনিয়র্সের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচের পুরোটা সময় জাদুকরী পারফরম্যান্স করা মেসি শেষদিকে একটি গোল করেন।
আগামী নভেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আগে এটিই হতে পারে ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ঘরের মাঠে মেসিরও হতে এটা শেষ ম্যাচ। কারণ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার আর খেলার সম্ভাবনা আছে কমই।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব আগেই নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচের আগে দুই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় মেসিকে। মাঠে ফিরেই চেনা ছন্দে মাঠ মাতান তিনি। তার পারফরম্যান্সে গ্যালারি মেতে থাকে। দারুণ জয়ের পর দল নিয়ে মাঠে 'ল্যাপ অব অনার' দিয়ে দর্শকের অভিনন্দনের জবাব দেন মেসি।
সমর্থকদের প্রমিত কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসি বলেন, 'মানুষের কাছ থেকে এর চেয়ে কম কিছু আমি আশা করিনি। আর্জেন্টিনার মানুষ ও এই দলের বন্ধন সবসময়ই দারুণ। আমি এখানে খুশি দীর্ঘদিন ধরেই, কোপা আমেরিকা জয়ের আগ থেকেই। লোকে সব সময়ই দেখিয়েছে, তারা আমাকে ভালোবাসেন এবং আমি এ জন্য কৃতজ্ঞ। এই ভালোবাসা সহজাতভাবেই আসে এবং তাতে মাঠের ভেতরে ও বাইরে আমাকে তা অনুপ্রাণিত করে।'
বিশ্বকাপের পর মেসি যে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিতে পারেন, সেটার ইঙ্গিত তার কথাতেই, 'আমি জানি না, সত্যি বলতে জানি না কী হবে (বিশ্বকাপের পরে)। সামনে যা আছে (মঙ্গলবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ), আপাতত তা নিয়েই ভাবছি। জুনে ও সেপ্টেম্বরে প্রস্তুতি ম্যাচও আছে। আশা করি, সবকিছু ভালোভাবেই হবে। তবে এটা নিশ্চিত, কাতার বিশ্বকাপের পর অনেক কিছুই পাল্টে যাবে।'