দিনে ১৩০০ এর বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে আইসিডিডিআর,বিতে
ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েই চলছে। আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআর,বি) প্রায় প্রতি মিনিটে একজন করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
গত সোমবার ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ১,৩৩৪ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে আইসিডিডিআর,বি-তে মঙ্গলবার ভর্তি হয়েছেন ১,৩১৭ জন। আর বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ৮৪৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে।
১৫ মার্চ থেকে আইসিডিডিআর,বি-তে ডায়রিয়া রোগী বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৩ দিনে হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৭,৬৮০ জন। অতিরিক্ত দুটি তাঁবু টানিয়ে ডায়রিয়া রোগীদের সেবা দিচ্ছে আইসিডিডিআর,বি।
আইসিডিডিআর,বির হেড অব হসপিটালস ডাঃ বাহারুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ডায়রিয়া রোগী কমছেই না। প্রতি ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি রোগী আসছে। ডায়রিয়া প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে আইসিডিডিআর,বি কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খেতে হবে। বড়দের (১০ বছরের বেশি বয়সী) ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর ১ গ্লাস (২৫০ মি.লি.) খাবার স্যালাইন খেতে হবে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে, প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা-চামচ সেই পরিমাণ খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি ২ বছরের নিচের শিশু অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে ও শিশুকে কোনো অবস্থাতেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না। ৬ মাসের অধিক বয়সী রোগী খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের স্বাভাবিক খাবার খাবে।
রোগীকে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার যেমন- ডাবের পানি, চিড়ার পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।