চাল রপ্তানি সীমিত করার পরিকল্পনা নেই ভারতের
পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পাশাপাশি রাষ্ট্র-নির্ধারিত দামের চেয়ে স্থানীয় দাম কম হওয়া চাল রপ্তানি সীমিত করার পরিকল্পনা নেই ভারতের। দেশটির বাণিজ্য ও সরকারি সূত্র থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে জড়িত একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, "আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণের চেয়ে বেশি চালের মজুদ রয়েছে।"
"এই অবস্থায় চাল রপ্তানি সীমিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই," বলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের ভোক্তা ভারত থেকে চাল রপ্তানি আগের বছরের ১৭.৮ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে এ বছরের মার্চ মাসে রেকর্ড ২১.২ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে।
অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও বলেন, ভারতে চালের প্রচুর মজুদ থাকায় রপ্তানি বাড়লেও চালের দাম কমছে।
১৩.৫৮ মিলিয়ন টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)-তে চাল এবং ধানের মজুদ মোট ৬৬.২২ মিলিয়ন টন বলে উল্লেখ করা হয় রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
এর আগে ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত একটি কমিটিকে অ-বাসমতি চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দাম বাড়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, "মুদ্রাস্ফীতি সামাল দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ভারত। দ্রব্যমূল্য পর্যবেক্ষণ কমিটি প্রতিটি পণ্যের উপর নজর রাখছে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।"
এছাড়াও, আরো কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, চালের ক্ষেত্রেও চিনির মতো একই বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। এই মুহূর্তে ভারত থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চিনির আগে গত ১৪ মে ভারত গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। দেশটিতে তাপপ্রবাহের প্রভাবে উৎপাদন ব্যহত হওয়া এবং পণ্যটির অভ্যন্তরীণ দাম রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
খুচরা মুদ্রাস্ফীতি গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭.৭৯ শতাংশে পৌঁছানোর ফলে ভারত সরকারকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবতে হচ্ছে।