প্রথমবারের মতো রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রায় হ্রাস করা হয়নি: অর্থমন্ত্রী
এবারই প্রথম বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রায় কোনো হ্রাস করা হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, "চলতি অর্থবছরের মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯.৪৩ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের এ সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা মূল বাজেটের সমান অর্থাৎ ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।"
এই বিশাল বাজেটের চাহিদা মেটাতে সরকার মোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে যা জিডিপির ৯.৮% হবে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সামগ্রিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১১.৩% ছিল।
আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস হতে ৩ লাখ ৭০ হাজার এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
আসন্ন অর্থবছরে বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপি'র ১৫.২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
এর মধ্যে এনবিআর–বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা; যা চলতি অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ১৬ হাজার কোটি ও ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
সরকার বৈদেশিক অনুদান হিসেবে আরও ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছে।
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। কিন্তু ১০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা কাটছাঁটের পর অর্থবছরের শেষদিকে সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়।