মহাসড়কে মোটরবাইক চলাচল নিষিদ্ধের সুপারিশ
দেশের মহাসড়কগুলোতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, তা রোধে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে যেসব জাতীয় মহাসড়কে সার্ভিস লেন আছে, ওই লেনে মোটরসাইকেল চলতে আপত্তি নেই সংস্থাটির।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা এবং দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিআরটিএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই সুপারিশ করা হয়।
বলা হয়, বিগত তিনটি ঈদুল ফিতরের তুলনায় সর্বশেষ ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা বেড়েছে। বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের তথ্য পর্যালোচনায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার কারণ হিসেবে ঈদের সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলকে দায়ী করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা রোধে জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা, দ্রুত ও বেপরোয় গতিতে চলা মোটরযান এবং অননুমোদিত ওভারটেক করা মোটরযানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, জাতীয় মহাসড়কে হিউম্যান হলার, থ্রি-হুইলারসহ নছিমন ও করিমনের মতো বাহন চলাচল বন্ধ করার সুপারিশ করেছে বিআরটিএ।
এছাড়া, রাস্তা পারাপারে পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, চালকদের প্রশিক্ষণ, খেলাপি ও কাগজপত্রবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান জোড়ালো করা এবং জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সুপারিশও করা হয়েছে।
মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য মহাসড়কে অসতর্ক, দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চালকের অননুমোদিত বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, পথচারীর অসাবধানতা, যত্রতত্র পারাপার ও পথচারীরা রাস্তা চলাচলে ডানপাশ ব্যবহার না করা, মহাসড়কে ধীর গতির যানবাহন ও নিবন্ধনবিহীন যানবাহন চলাচলকে দায়ী করেছে বিআরটিএ।
মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত আরোহী বহন, হেলমেট ব্যবহার না করা, চালকের অসচেতনতা ও ট্রাফিক আইন না মানা, সাইড রোড থেকে মূল সড়কে প্রবেশের ক্ষেত্রে মূল সড়কের গাড়িকে অগ্রাধিকার না দেওয়া ও মহাসড়কে ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী না থাকা ইত্যাদি বিষয়ও চিহ্নিত করেছে বিআরটিএ।
চলতি বছর ঈদুল ফিতরের আটদিনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।