শক্তিশালী মালয়েশিয়াকে গোল বন্যায় ভাসালেন বাংলাদেশের মেয়েরা
মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান অনেক- এমন বাক্য বললে সেখানে পুরুষ দল উল্লেখ করতে হবে। কারণ কিছুদিন আগে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জামাল ভুঁইয়ারা ৪-১ গোলে হারলেও বাংলাদেশের মেয়েরা খাতা-কলমের ব্যবধানকে পাত্তাই দিলেন না। দাপুটে ফুটবল খেলে মালয়েশিয়ার জালে গোল উৎসব করলেন সাবিনা, আঁখি, কৃষ্ণারা।
বৃহস্পতিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মুস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফিফা টায়ার-১ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমেই প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসালো সাবিনা খাতুনের দল।
ছেলেদের মতো মালয়েশিয়ার মেয়েদের দলও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। মালয়েশিয়া আছে ৮৫ নম্বরে, বাংলাদেশ সেখানে ১৪৬ নম্বরে। কিন্তু ৬১ ধাপের এই ব্যবধান মাঠের লড়াইয়ে বুঝতেই দিলেন না বাংলাদেশের মেয়েরা। এক পেশে ম্যাচে মালয়েশিয়াকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা খেললো স্বাগতিকরা।
আগামী ২৬ জুন একই মাঠে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া। অনেক আগেই এই ম্যাচ দুটির সূচি চূড়ান্ত হয়, খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। কিন্তু সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কারণে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে আসা হয়, খেলা হচ্ছে টার্ফে। এই দুই ম্যাচের টিকেটের টাকা সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সাহয্যে দেওয়া হবে।
কিছুক্ষণ পরপরই মালয়েশিয়ার জাল খুঁজে নেয় বাংলাদেশ, আর চলতে থাকে গোল উৎসব। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় সাবিনার দল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন আঁখি খাতুন। একটি করে গোল করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্না, মনিকা চাকমা ও কৃষ্ণা রানী সরকার।
গোল বন্যার ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধই নিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। দলটির বিপক্ষে সর্বশেষ ২০১৭ সালে খেলে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। পাঁচ বছরে বাস্তবতা কতোটা বদলে গেছে, সেটার প্রমাণ দিলেন সাবিনারা। পুরো ম্যাচ শাসন করে খেলে একের পর এক গোল করে গেলেন তারা।