ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু পহেলা জুলাই
উদ্বোধনের পর রোববার সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে পদ্মা সেতু।
সকাল থেকে টোল প্লাজাগুলোও খুলে দেওয়া হয়। সেতুর জন্য এর আগে যানবাহনের শ্রেণি ও টোল হার চূড়ান্ত করেছে সরকার।
এদিকে ফরিদপুর শহর থেকে বাস চলাচল শুরু হবে আগামী এক তারিখ থেকে। তবে খুলনা, বরিশাল, যশোর সহ বিভিন্ন জায়গার গাড়িগুলো ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু করেছে আজ থেকে। আপাতত বাসের সংখ্যা কিছুটা কম।
ফরিদপুর গোল্ডেন লাইন বাসের ম্যানেজার অরুন সাহা জানান, তারা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন; কদমতলী ও সায়েদাবাদে বাস কাউন্টারও নিয়েছেন। আগামী ১ জুলাই থেকে তাদের বাস ফরিদপুর থেকে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকা থেকে আসবে- এই ব্যবস্থা তারা করেছেন। তবে বাস ভাড়া বিআরটিএ এবং মালিক সমিতির সাথে বসে নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে ভোর সাড়ে ছয়টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা থেকে সাউদিয়া পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে পদ্মা সেতু হয়ে যায় বলে তিনি জানান।
শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ের বাস-সংশ্লিষ্ট একজন জানান, যশোর থেকে আগামী ২৮ জুলাই হতে বাসগুলো ছাড়বে। এই বাসগুলো ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যাবে। এসব বাসে ফরিদপুরের যাত্রীরা ঢাকা যেতে পারবে বলে তিনি জানান।
তবে ফরিদপুর থেকে এখনো মালবাহী ট্রাকগুলো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করছে। এখনো পদ্মাসেতু দিয়ে মালবাহী ট্রাকের সেভাবে যাতায়াত শুরু হয়নি। সরেজমিন ঘুরে এই চিত্রই দেখা গেছে।
পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ করা হয়েছে গত ১৭ মে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
টোল হারে মোটরসাইকেলের টোল ১০০ টাকা, কার ও জিপ ৭৫০ টাকা, পিকআপ এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস এক হাজার ৩০০ টাকা।
ছোট বাস (৩১ আসন বা এর কম) এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাস (৩২ আসন বা এর বেশি) দুই হাজার টাকা এবং বড় বাস (৩ এক্সেল) দুই হাজার ৪০০ টাকা।
ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫ টনের অধিক থেকে ৮ টন পর্যন্ত) দুই হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের অধিক থেকে ১১ টন পর্যন্ত) দুই হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ছয় হাজার টাকা।