আমদানিকৃত ইয়ার্নে তৈরি পোশাকের উপর প্রণোদনা চান পোশাক উদ্যোক্তারা
তৈরি পোশাক রপ্তানির কাঁচামাল কটনের দাম বৃদ্ধির পেক্ষাপটে স্থানীয় বাজারে ফের ইয়ার্নের দাম বাড়ানোর আলোচনা জোরালো হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ইয়ার্ন আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অপসারণের অংশ হিসেবে বেনাপোলের বাইরে অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি এবং পারশিয়াল শিপমেন্টের (একই এলসির বিপরীতে আংশিক পণ্য আমদানি) সুযোগ দেওয়ার জন্য ফের দাবি জানিয়েছেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে আমদানিকৃত ইয়ার্নে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা দেওয়ার দাবিও তাদের।
বৃহস্পতিবার পোশাক ও বস্ত্রখাতের চার সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল ও লিনেন প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিটিটিএলএমইএ) নেতারা সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠককালে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা এসব দাবি জানান।
বর্তমানে কেবল স্থানীয় টেক্সটাইল মিলগুলো থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে রপ্তানি করলে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়।
তবে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বেনাপোলের বাইরে ভোমরাসহ অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ার আগে সক্ষমতা তৈরি ও যথাযথ পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিটিএমএর নেতারা।
বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ভোমরা স্থলবন্দরে এখনো যথাযথ অবকাঠামো তৈরি হয়নি। অন্যান্য বন্দরেও পর্যাপ্ত ইক্যুইপমেন্ট নেই। বন্দরের সক্ষমতা তৈরি না করে ঢালাও আমদানির সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না"।
সভায় উপস্থিত বিটিটিএলএমইএ এর চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সোহেল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ইয়ার্ন আমদানিতে বিদ্যমান বাধা অপসারণে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেবেন বলে বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন"।
এছাড়া নগদ প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা দূর করে রপ্তানি মূল্যের উপর সরাসরি প্রণোদনা হিসাব করা, পোশাক তৈরিতে কাঁচামালের অপচয় বা ওয়েস্টেজ হার বাস্তবসম্মত করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগের হয়রানি দূর করার দাবিও জানানো হয় সভায়।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, "সরাসরি রপ্তানি মূল্যের উপর ইনসেনটিভ হিসাব করা হলে সব রপ্তানিকারক ও ইনসেনটিভ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনিয়ম করার সুযোগ কমবে"।