ই-কমার্সের জন্য উপ-কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আজ একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া, ই-কমার্স সংক্রান্ত নতুন আইন প্রণয়ন, অথবা বিদ্যমান আইন সংশোধনের সিদ্ধান্তও এক মাসের মধ্যে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ই-কমার্স খাতে অস্থিতিশীল ব্যবসায়িক মডেল এবং প্রতারণামূলক স্কিমের বিস্তার ঘটায় এখন শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
পূর্বে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) কমিটি গঠনসহ দেশের ই-কমার্স খাতের চলমান সংকট নিরসনে একটি সুপারিশমালা প্রস্তাব করেছিল।
ই-ক্যাব ডিজিটাল কমার্স পলিসি -২০১৮ অনুসরণ করে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে। এই কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে - রিস্ক ফ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট কমিটি, টেকনিক্যাল কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটি।
এদের মধ্যে, ডিজিটাল কমার্স পলিসি-২০১৮ মেনে ইতোমধ্যেই উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়েছে।
আর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য আইসিটি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তর এবং অন্যান্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি রিস্ক ফ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট বা ঝুঁকি বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ই-ক্যাবের সুপারিশমালায় আরও বলা হয়েছে, ই-কমার্স সাইটগুলোর আর্থিক লেনদেন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা উচিত।
গত জুলাইয়ে, অনলাইনে পণ্য ও সেবা বিক্রিতে জবাবদিহিতা আনতে মন্ত্রণালয় একটি ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, যেটি অনলাইন ব্যবসায় জড়িতরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, "ডিজিটাল কমার্স পরিচালনার নির্দেশিকাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শের পর তৈরি করা হয়েছিল।"