ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মোংলা বন্দর, আকৃষ্ট করছে বিনিয়োগকারীদের
সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মোংলা বন্দর। সরকারের সুদৃষ্টি ও সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। বন্দরের সুবিধাদি বৃদ্ধির জন্য ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এদিকে, পদ্মাসেতু ও খুলনা-মোংলা রেলসেতু এবং রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ায় মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক দেশের শিল্প-বাণিজ্যের অমিত সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত সূচিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে মোংলা বন্দরের প্রতি। এতে কর্মচ ল হয়ে উঠেছে গোটা বন্দর এলাকা। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত মোংলা বন্দর ৪৯৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা নীট মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় বন্দরে ৩ হাজার ৭০০টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে।
মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অসামান্য সমাহার সুন্দরবনের কূল ঘেষে বঙ্গোপসাগর থেকে ১৩২ কিলোমিটার উজানে এবং বিভাগীয় শহর খুলনা থেকে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণে বাগেরহাট জেলার পশুর নদীর পূর্ব তীরে মোংলা নালা ও পশুর নদীর মিলনস্থলে মোংলা বন্দর অবস্থিত। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই সমুদ্র বন্দর।
যেভাবে ফের কর্মচঞ্চল মোংলা বন্দর
২০০৯ সালের শুরুতেই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ লক্ষ্যে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে কার্যক্ষম ও কর্মচঞ্চল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বন্দরের কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন মাস থেকে এ বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসমূহের নির্দেশনা, বন্দর উপদেষ্টা কমিটি ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সুপারিশ এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনায় মোংলা বন্দর ধীরে ধীরে গতিশীলতা অর্জন করতে থাকে। ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে মোংলা বন্দর পুনরায় লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এছাড়া নীট মুনাফার পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
বন্দর সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মোংলা বন্দর ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা নীট মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর বন্দরে ৪৮২টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নীট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এ বছর বন্দরে ৬২৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১০৯ কোটি ৩৩ লাখ লাখ টাকা নীট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এ বছর বন্দরে ৭৮০টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৩৩ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এ বছর বন্দরে ৯১২টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এছাড়া সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১১৭ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জন হয়েছে। এই বছর বন্দরটিতে ৯০৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছে।
এদিকে ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোট ৪৫৯টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এ সব জাহাজে সার, সিমেন্ট, ক্লিংকার, সিরামিক ক্লে, কয়লা, রামপাল ও রূপরূপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেল কার্গো ও ভারি ভারি যন্ত্রপাতি, এলপিজি গ্যাস, ফ্লাই অ্যাশ ও এডিবেল ওয়েলসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী আমদানি করা হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
বন্দরের আধুনিকায়ন, চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণ ও দক্ষতার সঙ্গে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাহাজের গড় অবস্থানকাল হ্রাস এবং কার্গো ও কন্টেইনার সংরক্ষণের সুবিধাদির সম্প্রসারণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বন্দরের সুবিধাদি
জাহাজ হ্যান্ডলিং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২২৫ মিটার, ড্রাফট ৭-৮.৫ মিটার, কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ১০ মিলিয়ন মে. টন, ও কন্টেইনার ৭০ হাজার টিইউজ। এছাড়া কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সুবিধার মধ্যে রয়েছে, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার ৫টি, ফর্কলিফট ৩১টি, রিচ স্ট্র্যাকার ২টি, মোবাইল ক্রেন ৫টি, ডকসাইট ক্রেন ৫টি, টার্মিনাল ট্রাক্টর ১৬টি, সহায়ক জলযান ৩২টি, ট্রানজিট শেড ৪টি, রেফার প্লাগ পয়েন্ট ১৬০টি ও খোলা চত্বর।
মোংলা বন্দরের সাম্প্রতিক উন্নয়ন
বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ৫০টির অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও দক্ষ সেবা প্রদানে যেসব উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছে: ৭০টি কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল স্থাপন, ৩টি কার ইয়ার্ড নির্মাণ, ১০টি বিভিন্ন ধরনের সহায়ক জলযান ক্রয়, ৬২টি বিভিন্ন ধরনের লাইটেড বয়া, ২টি রোটেটিং বিকন, ৬টি জিআরপি লাইট টাওয়ার সংগ্রহ ও স্থাপন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, একটি স্টাফিং-আনস্টাফিং শেড, একটি ওয়েব্রিজ মোবাইল স্ক্যানার সংগ্রহ। এ ছাড়া রুজভেল্ট জেটির বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে।
চলমান প্রকল্প
বর্তমানে মোংলা বন্দরে ১০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এরমধ্যে মোংলা বন্দর চ্যানেলের আউটার বারে ড্রেজিং শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে। এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ড্রেজিং শেষ হওয়ার কথা। ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস) প্রবর্তনের কাজও শুরু হয়েছে ২০১৭-১৮ থেকে '২১ সালে শেষ হবে। আরও আছে মোংলা পোর্টের স্ট্র্যাটেজিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন। এর কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে, শেষ হবে ২০২১ সালের জুনে। চলছে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ। ২০২১ সালে এই প্রকল্প শেষ হবে। এসবের বাইরে পোর্টের অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম সংগ্রহ পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, সহায়ক জলযান সংগ্রহ, বর্জ্য নি:সৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ থেকে পিপিপি'র আওতায় মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটির নির্মাণও কাজ শেষ করা হবে ২০২১ সালের মধ্যে। চলমান এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮ হাজার কোটি টাকার মতো।
মোংলা বন্দর উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মোংলা বন্দর এলাকায় ২০৫ একর জমিতে নতুন অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু ও ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হলে মংলা বন্দর কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে 'কোস্টাল শিপিং' ব্যবস্থা শুরু হলে এ বন্দরের গুরুত্ব ও ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পাবে। ভৌগোলিক কারণে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের- 'সেভেন সিস্টার' রাজ্যগুলোও মংলা বন্দর ব্যবহারে যথেষ্ট আগ্রহী। এগুলো বাস্তবায়িত হলে সামনের দিনগুলোতে মংলা বন্দরের জাহাজ, কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। এ ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং মংলা বন্দরের ভিশনকে সামনে রেখে মংলা বন্দরের আরও উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে মোংলা বন্দরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে আমদানি-রফতানিকারকরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বিনিয়োগও বাড়ছে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ জামান বলেন, ইতোমধ্যে সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক বন্দর মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মাসেতু ও খুলনা-মোংলা ট্রেন লাইন চালু এবং রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর মোংলা ও খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমা লের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিশীলতা আরো বহুগুণ বেড়ে যাবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য (রামপাল-মংলা) এবং বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, বৃহত্তর খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমা লকে অর্থনৈতিকভাবে সচল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোংলা বন্দরের উন্নয়নে নানা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। ইতোমধ্যে মংলা বন্দরকে ঘিরে ইপিজেড, অর্থনৈতিক জোন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন, বিমানবন্দর নির্মাণ, রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া জাহাজ বন্দরে আসার জন্য নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে মাদার ড্রেজার ক্রয় করা হয়েছে। যা দিয়ে নদী খনন কাজ চলছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (মবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে মোংলা বন্দরে গতিশীলতা এসেছে। পদ্মাসেতু চালু হলে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যাবে। তখন রাজধানী ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মোংলা বন্দরের ব্যবধান অনেক কমে যাবে। সময় ও খরচ কমে যাওয়ায় তখন ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বন্দরের নাব্যতা সংকট কাটিয়ে উঠেছি। এখন বন্দরের হারবাড়িয়ায় ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে। আগামী বছরের প্রথম থেকেই বন্দরের মূল জেটিতেও এসব জাহাজ ভিড়তে পারবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মোংলা বন্দরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাট ও পাটজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানির জন্য বন্দর সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৫০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার চালনাতে বন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর দাপ্তরিকভাবে 'চালনা বন্দর' প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর মাত্র ১০দিন পর জয়মনিরগোল নামক স্থানে প্রথম বিদেশি জাহাজ 'দ্য সিটি অব লিয়ন্স' নোঙরের মাধ্যমে চালনা বন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে তার যাত্রা শুরু করে। শুরুতে এ সমুদ্র বন্দরের নাম ছিল 'চালনা অ্যাংকোরেজ'। ১৯৫১ সালের ১৭ মার্চ জয়মনিরগোলের ২২ কিলোমিটার উত্তরে চালনা অ্যাংকোরেজ হিসাবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে একটি বিশেষজ্ঞ জরিপের পর বন্দরটি ১৫ কিলোমিটার ভাটিতে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৭৬ সালে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর ও চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ 'মোংলা পোর্ট অথরিটি' নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বন্দরটি। এ বন্দরটির ভিশন হচ্ছে দক্ষ, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব আধুনিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা।