জি-২০ বৈঠকে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে করোনা ভাইরাস
নতুন করে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বাড়ার খবর জানিয়েছে চীন। শুক্রবার নাগাদ ভাইরাসের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের বাইরে, সমগ্র চীনে আরও ২০০ ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়। এদিকে, পুরো বিশ্বে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ এখন তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে আগামী রোববার সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলন। এবারের জি-২০ সম্মেলনে মূল আলোচনার কেন্দ্রে থাকছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের নেতিবাচক প্রভাব। এমন গুরুত্বের কারণ যথেষ্ট।
শুক্রবার নাগাদ ভাইরাস ভীতিতে এশিয়ার প্রধান প্রধান পুঁজিবাজার থেকে বৃহৎ তহবিলগুলোর বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ধারা অব্যাহত ছিল। বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রমুখী হওয়ায় এদিন মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান অর্জন করে।
এই ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজার কৌশলবিদ রড্রিগো কার্টিল বলেন, কোভিড-১৯’কে ঘিরে এশীয় পুঁজিবাজারে উদ্বেগ এখন ভীতিতে রূপ নিয়েছে। চীনের বাইরেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন বিনিয়োগকারীরা। খবর রয়টার্সের।
চীনে সংক্রমণের প্রভাব এশিয়ার অন্যান্য বড় অর্থনীতির ওপরেও বেশ বড় আকারেই অনুভূত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার এটাও বড় কারণ।
জাপান এবং সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি এখন চীনা রপ্তানি বাজার ও পর্যটন হারিয়ে প্রায় মন্দার কাছাকাছি। আর গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়াও চীনে তাদের মোট রপ্তানি পড়তির দিকে বলে জানায়। তার মানে, আঞ্চলিক সরবরাহ শৃঙ্খল প্রায় ভেঙ্গে পড়ার মুখে।